• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০৪:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৭, ২০২১, ০৪:২৫ পিএম

রোজ এক গ্লাস ধনিয়া পানি

রোজ এক গ্লাস ধনিয়া পানি

সবুজ ধনিয়া পাতা কিংবা এর বীজ, দুটোই রান্নার কাজে বেশ ব্যবহার হয়। খাবারের স্বাদ বাড়াতে কিংবা খাবার পরিবেশনের সৌন্দর্য বাড়াতে এর ব্যবহার হয়। এর ব্যাপক ঔষধি গুণও রয়েছে। রোজ এক গ্লাস ধনিয়া পানি পানে আপনার শরীরের ডায়াবেটিসসহ নানা সমস্যার সমাধান হবে।

ধনিয়া পানিতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই এ পানীয়টির কিছু ঔষধি উপকারিতা।

ব্লাড সুগার কমায়
প্রতিদিন নিয়মিত রুটিন করে ধনিয়া পানি পান করতে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা। এটি শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্লাড সুগারকে কমিয়ে রাখে।

ইমিউনিটি বাড়াতে
সকালে খালি পেটে ধনিয়া পানি খেলে শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন বিভাগে এ বিষয়ে গবেষণায় ইতিবাচক প্রমাণ পাওয়া যায়।

পিরিয়ডে সমস্যায়
পিরিয়ডের সমস্যা সমাধানেও ধনিয়া পানির জুড়ি নেই। আধা লিটার পানিতে প্রায় ৬ গ্রাম ধনিয়া বীজ দিয়ে জ্বাল করে নিন। এই পানীয়টি পিরিয়ডের সমস্যার সমাধান দেবে। পিরিয়ডের যন্ত্রণাও হ্রাসে করবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত সকালে খালি পেটে এই পানীয়টি পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এক চামচ ধনিয়া এক গ্লাস পানিতে জ্বাল করে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। শরীরের চর্বি কমাতে এটি দ্রুত কাজ করবে।

বদহজমের সমাধান দেয়
পেটের বদহজমের সমস্যা সমাধানেও এই পানীয়টি গুরুত্বপূর্ণ। হজমে সহায়ক পাচকরসের ক্ষরণে সাহায্য করে ধনিয়া। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। তাই নিয়মিত ধনিয়া পানি খাওয়া শুরু করুন। ভালো ফল পাবেন।

সর্দি-কাশি কমায়
ধনিয়া বীজে রয়েছে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, ফলিক এসিড ও ভিটামিন সি। এই উপাদানগুলোর সব কটিই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই ধনিয়া পানি খেলে ঠান্ডা, সর্দি-কাশি এমনকি জ্বরের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে।

কনজাংটিভাইটিস সমস্যায়
ধনিয়াতে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ রয়েছে। তাই ধনিয়া পানি কনজাংটিভাইটিসের পাশাপাশি চোখের বেশ কিছু সমস্যাও কমাতে কাজ করে।