• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২১, ০৪:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৫, ২০২১, ০৪:৪১ পিএম

অস্টিওপোরোসিস কীভাবে বুঝবেন

অস্টিওপোরোসিস কীভাবে বুঝবেন

অস্টিওপোরোসিস হলো ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটি রোগ। বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের সাধারণত এ রোগটি হয়। যেসব বয়স্ক পুরুষ  অনেকদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ সেবন করেন কিংবা যেসব মহিলাদের মেনোপস হয় তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া যারা অলস জীবনযাপন করেন, পরিশ্রম কম করেন তাদেরও এ রোগের সম্ভাবনা বেশি। এমনকি দীর্ঘদিন যারা আর্থাইটিসে ভোগেন তাদেরও হয়ে থাকে এ রোগটি। 

বিশেষ করে, অস্থির বৃদ্ধিতে ঘাটতি থাকলে হয় এই রোগটি। ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে অস্থির বৃদ্ধি হয়। অস্টিওপোরোসিস হচ্ছে এমন একটি রোগ যেখানে হাড় দুর্বল হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ধূমপান ত্যাগ, নিয়মিত ব্যায়ামসহ, ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম খেলে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

অস্টিওপোরোসিস, কীভাবে বুঝবেন...

সাধারণত হাড় ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত অস্টিওপোরোসিসের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। তারপরেও কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখলে বুঝবেন আপনি এ রোগে ভুগছেন।

  • অস্থি ভঙ্গুর হয়ে যায়,পুরুত্ব কমতে থাকে।
  • পেশির শক্তি কমতে থাকে।
  • পিঠের পিছনে ব্যথা অনুভব হয়।
  • অস্থি তে ব্যাথা অনুভব হয়।
  • শরীরের নমনীয়তা হারানোর প্রবণতা থাকে।
  • শরীর একদিকে ঝুঁকতে থাকে এবং উচ্চতাও হারাতে শুরু করেন।
  • এক্সরের মাধ্যমে বোঝা যায় দাঁতের চোয়ালের হাড়ের ক্ষয়।
  • মেরুদন্ড বেঁকে যাবে। মেরুদন্ডের এই বক্রতা ডাওয়েজার্স হাম্প হিসেবে পরিচিত।
  •  দেহভঙ্গি দুর্বল করে এবং ঝোঁকটাকে অত্যন্ত স্পষ্ট করে। বক্র মেরুদন্ডের এই অবস্থাকে বলে কাইফোসিস। 

এ লক্ষণ গুলো থাকলে অস্টিওপোরোসিস আছে বলে ধরে নিতে পারেন। এফআরএএক্স (FRAX) নামের অনলাইনভিত্তিক অ্যাপের সাহায্যে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি নিরূপণ সম্ভব। এই অ্যাপের বাংলা ভার্সনও রয়েছে।