দেশের ১৩ জেলায় প্রায় দেড়শতাধিক অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। অনিয়মের দায়ে জরিমানা করা হয়েছে ৫টি হাসপাতালকে। টাঙ্গাইল, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, শেরপুর সহ বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ অভিযান পরিচালনা করছে।
সকালে টাঙ্গাইলে চারটি হাসপাতাল বন্ধ ও দুটিকে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন।
প্রথম দিনের অভিযানে ডিজিল্যাব, আমানত শাহ হাসপাতাল, স্বদেশ ডায়গনস্টিক সেন্টার ও পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল সিলগালা করে বন্ধ করা হয়। কমফোর্ট হাসপাতালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিটি হাসপাতালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাটোর শহরের পদ্মা ও সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবের কোনও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সিলগালা করা হয়েছে। জেলার মোট ১৭০ টি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের মধ্যে ১২ টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিকভাবে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত ২৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান চালিয়ে ৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আংশিক কাগজপত্র থাকায় একটি ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করা হয়েছে। রাজবাড়ীতে লাইসেন্স না থাকায় দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।
শেরপুরেও অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে জেলার মোট ৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযানে জেলা সদরের ৭২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ২৬টি, শ্রীবরদীতে ছয়টির মধ্যে ছয়টি, ঝিনাইগাতীতে পাঁচটির মধ্যে তিনটি, নালিতাবাড়ীতে ১১টির মধ্যে পাঁচটি ও নকলাতে সাতটির মধ্যে দুটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, জেলায় ২৮টি ক্লিনিক ও ১১১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করায় অনেক মালিক পক্ষ লাইসেন্স নবায়ন করেননি। তাই জেলায় মোট ৪২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিগুলোকে যদি শর্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজ প্রস্তুত করে ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করে, তাহলে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হবে।
জাগরণ/স্বাস্থ্য/কেএপি