• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০১৯, ০৬:৫৮ পিএম

শামীমাকে নিয়ে নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরতে চান স্বামী ইয়াগো

শামীমাকে নিয়ে নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরতে চান স্বামী ইয়াগো
ইয়াগো রিয়েদজিক ও শামীমা বেগম


জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ও তার সন্তানকে নিজ দেশ নেদারল্যান্ডসে ফিরতে চান তার স্বামী ইয়াগো রিয়েদজিক। ইয়াগো রিয়েদজিক ডাচ নাগরিক। তিনিও আইএস এর হয়ে যুদ্ধ করতে ইরাকে গিয়েছিলেন।

ব্রিটেন থেকে পালিয়ে আইএসের দখলকৃত এলাকায় শামীমা পৌঁছানোর কয়েকদিন পরই ইয়াগো রিয়েদজিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

বার্তা সংস্থা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়াগো রিয়েদজিক স্বীকার করেছেন, তিনি আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এখন তিনি স্ত্রী ও সদ্যজাত সন্তানের কাছে ফিরে যেতে চান। ২৭ বছর বয়সী রিয়েদজিক এখন উত্তর পূর্ব সিরিয়ায় একটি কুর্দি বন্দি শিবিরে আটক আছেন।

নেদারল্যান্ডসে ফিরে গেলে আইএসে যোগ দেবার অপরাধে রিয়েদজিককে ছয় বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। 

বিবিসিকে রিয়েদজিক আরও বলেন, তিনি আইএস ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি আগেও এই দল থেকে বের হয়ে যেতে চেষ্টা করেছিলেন। রাক্কায় আইএস জঙ্গিরা তাকে ডাচ গোয়েন্দা হিসেবে সন্দেহ করে বন্দি করেছিল এবং তার ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়।

ইসলামিক স্টেটের স্বঘোষিত 'খেলাফতের' রাজধানী রাক্কায় এই গোষ্ঠীর পতনের পর, যখন উত্তর সিরিয়ার বাগুজেও এই গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ হারায়, তখন বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী শামীমা এবং তার স্বামী শহর থেকে পালিয়ে যান। পরে রিয়েদজিক একদল সিরীয় যোদ্ধার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। অপরদিকে শামীমা উত্তর সিরিয়ার আল-হাওল শরণার্থী শিবিরে আরো ৩৯ হাজার শরণার্থীর সঙ্গে আশ্রয় নেন। শামীমা বেগম সেখানেই একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন।

তবে এখন শামীমা সেখান থেকে অন্য কোথাও চলে গেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

রিয়েদজিক বিবিসিকে বলেছেন, পনের বছরের একজন কিশোরীকে বিয়ে করার বিষয়টি তার কাছে 'ভুল' মনে হয়নি, কারণ এটি ছিল 'তার (শামীমার) সিদ্ধান্ত'। তখন রিয়েদজিক এর বয়স ছিল ২৩ বছর ।
 
রিয়েদজিক নেদারল্যান্ডস সরকারের সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় থাকলেও তার নাগরিকত্ব বাতিল করেনি দেশটি ।

আরআই