• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৩, ২০১৯, ০৬:১৪ পিএম

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের সম্ভাবনাই বেশি

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের সম্ভাবনাই বেশি

 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান আলোচক মিশেল বার্নিয়ার বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের সম্ভাবনাই এখন বেশি। তবে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এখনো এড়ানো যেতে পারে বলেও মত দিয়েছেন তিনি। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অচলাবস্থা সোমবারও না কাটায় বার্নিয়ার একথা বললেন। ব্রাসেলসে এক বক্তব্যে বার্নিয়ার বলেন, ১২ এপ্রিলে ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্যের হাতে এখন তিনটি বিকল্পই আছে।

একটি হচ্ছে, ব্রিটেন এখনো প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র স্থবির হয়ে থাকা ব্রেক্সিট চুক্তি মেনে নিতে পারে। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের সুশৃঙ্খলভাবে বেরিয়ে যাওয়ার এটিই একমাত্র পথ বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। আর অন্য দুই বিকল্পের একটি হচ্ছে ‘চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট,’ যেটি সবচেয়ে অনিষ্টকর একটি পন্থা। অথবা তৃতীয়ত: ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন দেরী করা। এ তিনটি বিকল্পের যে কোনোটির জন্যই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দায়ী হবে বলে বার্নিয়ার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্যকে এখন সামনে এগুনোর পথ নির্দেশ করতে হবে কিংবা একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আনতে হবে।”

ব্রেক্সিট বিষয়ে ইইউ’র প্রধান এই আলোচক বলেন, যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার সময় যদি ১২ এপ্রিলের পর আরো বাড়াতে হয় তবে সেটি ‘ইইউ’র জন্য গুরুতর ঝুঁকির কারণ হবে’ এবং সময় বাড়াতে ‘জোরাল কারণ দেখানোর প্রয়োজন পড়বে’। মঙ্গলবার সকালে ইইউ পার্লামেন্টের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটিকে তিনি বলেন, “চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কখনোই আমাদের কাম্য নয় বা এটি আমাদের পরিকল্পিত দৃশ্যপটও নয়। তবে এখন ইইউ’র ২৭ সদস্য এর জন্য প্রস্তুত। কারণ যত দিন যাচ্ছে এর সম্ভাবনাই বাড়ছে।

“সবকিছু যেভাবেই হোক এখন হাউজ অব কমন্সের সিদ্ধান্তের উপর ঝুলে আছে। চুক্তি যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে করা হয়নি বরং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। যদি আমরা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে চাই তবে একটি পথই খোলা আছে—তাদেরকে একটি চুক্তি পাস করতে হবে। আর হাতে এখন কেবল একটি চুক্তিই (ব্রেক্সিট চুক্তি) আছে।”

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গত জানুয়ারি থেকে তিনবার তার খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ হাউজ অব কমন্সে উপস্থাপন করেন। কিন্তু তিনবারই এমপি’রা তা বিপুল ভোটে প্রত্যাখান করে। তার দল কনজারভেটিভ পার্টির বেশিরভাগ এমপিও চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন। এক পর্যায়ে কনজারভেটিভ নেতারা চুক্তি পাসের বিনিময়ে মে’কে পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খবর আসে।  

মরিয়া মে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু তাতেও এমপি’দের মন গলেনি। ওদিকে, মের প্রস্তাবের বেশ কয়েকটি বিকল্প নিয়েও কমন্সে ভোট হয়েছে এবং যথারীতি সেগুলোর কোনোটিতে এমপি’রা একমত হতে পারেননি। সোমবারও চারটি বিকল্পের উপর ভোট হয়। মে দৃঢ়ভাবে যেগুলোর বিরোধিতা করেছিলেন। ওই বিকল্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করা। এ প্রস্তাবের পক্ষে এমপিদের সবচেয়ে বেশি ভোট পড়লেও সেটা পাস করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এ অবস্থায় মে’র মন্ত্রিপরিষদ চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিষয়টি বিবেচনা করছে এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তুতির গতি বাড়িয়েছে। ওই বৈঠকে আগাম জাতীয় নির্বাচনের ডাক দেওয়ার আলোচনাও হয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

এসজেড