• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৬, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

ট্রাম্প-আবে বাণিজ্য আলোচনা ‌

ট্রাম্প-আবে বাণিজ্য আলোচনা ‌

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রোববার (২৬ মে) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে গলফ খেলা ছাড়াও 'সুমো' কুস্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণে অংশ নিয়েছেন। এর আগে শনিবার (২৫ মে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প জাপান সফরে পৌঁছান।

ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে পুরো বিশ্বের বাণিজ্য বাজারকে থমকে যেতে না যেতেই জাপানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাপান সফরের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্য বিষয়ে জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় অংশ নেওয়া যা শুরু হতে পারে রোববার (২৬ মে) থেকে। জাপানের বড় বাণিজ্য উদ্বৃত্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য সম্পর্কের কোনো চুক্তি সম্পন্ন না হলে জাপানের অটো রপ্তানির ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ করার চিন্তা করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুমো কুস্তি প্রতিযোগিতা দেখতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে জাপানের রয়গোকু কোকিজিকান হলে যান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ দিনের সুমো প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাপ উপহার দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শিনজো আবের আতেথিয়তার প্রশংসা করে বলেন, সুমো গ্রান্ড চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আপনার প্রাপ্তির সম্মানে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট কাপ' প্রদান করা হলো।

কিন্তু বাণিজ্যের এতবড় আলোচনার ছাপ একদমই চোখে পড়েনি গলফ মাঠে। শিনজো আবের অফিস থেকে ট্রাম্প ও আবের একটি সেলফি পোস্ট করা হয়েছে যেখানে 'ইউএসএ'র লাল ক্যাপ পরা ছিলেন ট্রাম্প এবং নীল ব্লেজার ও সাদা প্যান্ট পরা ছিলেন আবে। সেলফি পোস্ট করে আবে লিখেন, আশা করি জাপান-মার্কিন আন্তঃসম্পর্ক আরও স্থায়ী হবে।

অমায়িক আতিথিয়তা এবং হাসিমুখের ছবি প্রকাশ করা হলেও বাণিজ্য চিন্তা দুই দেশ প্রধানের মধ্যেই ছিল। টোকিও ফিরেই ট্রাম্প টুইট করে জানান , জাপানের সাথে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে যার মধ্যে কৃষি ও মাংস রপ্তানি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

এরপর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এক বিবৃতিতে বলেন, আরামদায়ক পরিবেশে দুই দেশ তাদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাপান সফর করার অর্থ জাপান-মার্কিন সম্পর্ক আরও শক্ত হয়েছে।

কিন্তু যতই শ্রুতিমধুর বিবৃতি আসছে ততই বাণিজ্যের বিষয়ে চিন্তা যেন বাড়ছে। ট্রাম্প-জাপান এক্সপোর্ট বাণিজ্যের প্রান্তিকীকরণের মাধ্যমে বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে আশা করি মার্কিন এক্সপোর্ট বাণিজ্য অসামঞ্জস্য দূর হবে এবং ন্যায্যতা ও পাস্পরিকতা আরও বৃদ্ধি হবে। ২০০০ সালের পর জাপানের বাজারে মাংস রপ্তানি করার পুরো সুযোগ দেওয়ার জন্য জাপানের সাহায্যকে স্বাগতম।

তিনি আরও বলেন, আশা করি ভবিষ্যতে আরও অনেক ঘোষণা আসবে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সবচেয়ে বড় ঘোষণা আসবে।

জাপান-মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ে কূটনীতিকদের অগ্রগতির সম্ভাবনা যে কম তা এই বিবৃতির মাধ্যমেই বুঝা যাচ্ছে। বাণিজ্য আলোচনা ছাড়াও দুই দেশ প্রধানের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও মিসাইল ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। তবে এই বিষয়ে দুই দেশ প্রধানের অবস্থান পরস্পর বিরোধী। যদিও উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণ ইস্যু নিয়ে জাপানের বক্তব্য ছিল, এই মিসাইল নিক্ষেপের মাধ্যমে জাতিসংঘের নীতিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স

এসজেড