পাকিস্তানের বৃহত্তম শহর করাচিতে দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা ভারতীয় দূতাবাস ভবনটি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছে নয়া দিল্লি। এ বিষয়ে এরইমধ্যে পাক হাইকমিশন বরাবর ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি চিঠিও পাঠিয়েছে মোদী সরকার। যেখানে ভারতের এই সম্পত্তি অবিলম্বে অবমুক্ত করার দাবিও জানানো হয়।
শনিবার (৬ জুলাই) ভারতীয় বার্তা সংস্থা দ্য হিন্দুস্তান টাইমস প্রকাশত এক খবরে বলা হয়, ১৯৯৪ সালে করাচিতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ভবনটি নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ হয়ে যায়। কেননা এর আগের বছর মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পনা এই শহরেই করা হয়েছিল; যেখানে শীর্ষ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিম নিজেও জড়িত ছিলেন।
পরবর্তীতে শহরটিতে ভারতীয় কূটনীতিকদের চলাফেরায় বাধা দিতে শুরু করে পাকিস্তান। যার অংশ হিসেবে পাক সেনাদের চাপের মুখে করাচিতে নিজেদের সেই দূতাবাস ভবনটি বন্ধ করে দেয় ভারত। মূলত এর পর থেকে শহরটির অভিজাত এলাকায় ছয়তলা বিশিষ্ট সেই ভবনটি এখনও খালি পড়ে আছে।
ভারত সরকারের অভিযোগ, প্রথমে ভবনের দরজা-জানালার পাল্লা এবং ইলেকট্রিক ফিটিংস খুলে নেয় দুষ্কৃতিকারীরা। যে কারণে এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মাদকসেবীদের আনাগোনা শুরু হয়। যার অংশ হিসেবে এবার গোটা ভবনটিই দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার হায়দার শাহের কাছে এরই মধ্যে একটি অভিযোগ পত্র পাঠানো হয়েছে। দিল্লির পক্ষ থেকে পাঠানো সেই পত্রে, পাক প্রশাসনের মদত ছাড়া কীভাবে এই দূতাবাস ভবন দখল করা যায়, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
এসকে