• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ১০:১৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০১:৫৮ পিএম

বাংলাদেশের বাঁধে মরছে আত্রেয়ী, দাবি মমতার

বাংলাদেশের বাঁধে মরছে আত্রেয়ী, দাবি মমতার

মাত্র দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনিই অভিযোগ তুললেন, আত্রেয়ী নদী শুকিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী বাংলাদেশের তৈরি করা বাঁধ।

বুধবার (১০ জুলাই) ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়,  বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “বাঁধ তৈরির ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দাদের ভোগান্তি হচ্ছে। রাজ্য থেকে কেন্দ্রকে এ সম্পৃক্ত সকল তথ্য পাঠানো হয়েছে, তবুও কেন্দ্র বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে না এবং এটিকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে”। 

শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশ হয়ে আবারও দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছে আত্রেয়ী নদী। এই নদীর জলের ওপরেই নির্ভর করে চাষের কাজ থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ করেন মৎস্যজীবীরা। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আত্রেয়ী নদী। প্রায় হাজারখানেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভরকরে এই নদীর জলের ওপর। তবে সম্প্রতি কয়েকবছরে, বাংলাদেশে বাঁধ তৈরির ফলে আত্রেয়ীর জলস্তর ব্যাপকভাবে নেমে গিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ বাঁধ তৈরি করার ফলে গরমকালে এই নদীর জল খুবই নেমে যাচ্ছে, প্রায় শুকিয়েই যাচ্ছে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি”।

এর আগে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি নিয়েও বিধানসভায় কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যদি অনুকূলে হত, তাহলে 'বন্ধুত্বপূর্ণ' পরিবেশে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে জলবণ্টন মেনে নিতেন। মমতা আরও বলেন, “তিস্তার জলবণ্টন মেনে না নেওয়ায় তারা দুঃখ পেয়েছে…আমার ক্ষমতা থাকলে, নিশ্চিতভাবেই আমি তাদের সঙ্গে তিস্তার জল বণ্টন মেনে নিতাম …আমার কোনও সমস্যা নেই…বাংলাদেশ আমাদের বন্ধু…এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই”।

বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন, বাংলাদেশের সঙ্গে জলবণ্টন চুক্তি করেছিলেন জ্যোতি বসু”।

এ সময় তিনি আরও বলেন, “তিস্তা শুকিয়ে যাচ্ছে। যদি এখানকার জল আমরা দিই, তাহলে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মানুষদের সমস্যা হবে, চাষের কাজ করতে পারবেন না কৃষকরা…আমি একথা বলছি, কারণ আমি সেখানকার পরিস্থিতি দেখেছি”। 

এরপরেই পর্যায়ক্রমে তোর্সা, মানসী, সঙ্কোশ এবং ধানসাই নদীর জল বণ্টনের প্রসঙ্গেও কথা বলেন মমতা।

এনডিটিভি
এসকে 

আরও পড়ুন