আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটাল ওয়ানের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে এক হ্যাকার। প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের তথ্য মত, গত ১৯ জুলাই সংঘটিত এই হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর সোমবার (২৯ জুলাই) ক্যাপিটাল ওয়ানের পক্ষ থেকে তথ্য চুরির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। 

রয়টার্স জানায়, এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় সিয়াটলের একটি প্রযুক্তি কোম্পানির একজন সাবেক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করে সোমবার ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয়। 

পেইজ টমসন নামের ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর বিরুদ্ধে কম্পিউটার জালিয়াতি এবং প্রযুক্তির অপব্যাবহারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই লাখ ডলার জরিমানা হতে পারে।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, ক্যাপিটাল ওয়ানের ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদনকৃত ব্যক্তিদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখসহ আরও কিছু ব্যক্তিগত তথ্য এই হ্যাকারের হাতে পড়েছে। তবে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের অ্যাকাউন্ট নম্বর হ্যাক হয়নি বলে আশ্বস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।    

সোমবার এক বিবৃতিতে ক্যাপিটাল ওয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাদের তথ্য চুরি গেছে, তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কোটি এবং কানাডার ৬০ লাখ মানুষ রয়েছেন। তারা বলছে, কোম্পানির ডিজিটাল অবকাঠামোর একটি নিরাপত্তা ত্রুটি ব্যবহার করেই তথ্য চুরি করেছে হ্যাকার।   

ক্যাপিটাল ওয়ানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুরি যাওয়া তথ্য কোনো ধরনের জালিয়াতিতে ব্যবহার হয়েছে বলে তারা মনে করছে না।

তবে এ ঘটনায় তাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং যাদের তথ্য বেহাত হয়েছে, তাদের অ্যাকাউন্টের লেনদেনের ওপর নজর রাখার পাশাপাশি তথ্যের সুরক্ষায় বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ক্যাপিটাল ওয়ানের চেয়ারম্যান রিচার্ড ফেয়ারব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেন, “অপরাধী ধরা পড়েছে, অন্তত এই কারণে আমি স্বস্ত্বি পাচ্ছি। যা ঘটেছে সেজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ঘটনায় যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সেজন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং এর সমাধানের বিষয়ে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ।”

এসকে