• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩০, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

অাবাসিক এলাকায় পাক সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৭

অাবাসিক এলাকায় পাক সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৭


পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে সামরিক বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরবেলায় একটি জনবহুল এলাকার একটি বাড়ির ওপরে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এ দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৭ জনের। কমপক্ষে আরো ১৫ জনের গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের ৫জন বিমান কর্মী ও ১২ জন বেসামরিক।

এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানিয়েছে,  ‘‘মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) স্থানীয় সময় সকালে রাওয়ালপিন্ডির রবি সেন্টারের কাছে আবাসিক এলাকায় প্রশিক্ষণ চলাকালে বিমানটি আচমকা বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটি প্রতিদিনের মতো প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে ছিল। এক সময়ে একটি বাড়িতে ধাক্কা লাগে বিমানের। দুর্ঘটনার পরই ভেঙে পড়ে বাড়িটি। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি।’’

অপর দিকে উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র ফারুক বাট বলেন, রাওয়ালপিণ্ডির কাছে মোরা কালু গ্রামে ভেঙে পড়ে বিমানটি। সবকয়টি মরদেহ ও আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি। এতে হতাহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার সামনে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এলাকাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কী কারণে বিমান ভেঙে পড়ল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার পরই বিমানটিতে আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায় উদ্ধারকারী দল।

বিমান দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আরেক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অধিকাংশজনই আগুনে পুড়ে গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুও’’। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিকট শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। তারপরই তারা দেখেন যে, বাড়ির সামনে বিমান ভেঙে পড়েছে। মহম্মদ মুস্তাফা নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমার বোন, ওর স্বামী ও ওদের ৩ বাচ্চা মারা গিয়েছে। ওদের বাড়িতেই বিমান ভেঙে পড়েছে’’। আব্দুল রহমান নামের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমান চালকদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিমানের নিহত ক্রুরা হলেন- লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাকিব, লেফটেন্যান্ট কর্নেল ওয়াসিম, নায়েব সুবেদার আফজাল, হাবিলদার আমিন, হাবিলদার রহমত। তবে নিহত বাকি বেসামরিকদের পরিচয় এখনো সনাক্ত করা যায়নি। কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১০ সালের পর এটি দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। সে বার একটি যাত্রীবাহী এয়ারবাস বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ১৫২ আরোহীর সকলেরই মৃত্যু হয়।

সূত্র : দ্য ডন, এনডিটিভি

এসজেড

 

আরও পড়ুন