• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম

ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণই জানেন না রোগীরা 

ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণই জানেন না রোগীরা 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এডিশ মশা। জেলার অন্য উপজেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত না হলেও এ উপজেলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এখানে ৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন রোগী ভর্তি থাকছেন গাংনী হাসপাতালে। ফলে অন্যান্য রোগীর চিকিৎসা সেবা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। 
জনসচেতনতার অভাব এবং কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকায় এ উপজেলায় এডিস মশা ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।  

এ পর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২০ জন। এদের মধ্যে গাংনী উপজেলায় শনাক্ত ১৫৩ জন। যার বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। ফলে এ উপজেলায় এডিসের অস্তিত্ব রয়েছে তা নিশ্চিত চিকিৎসকরা। কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা না থাকা ও জনসচেতনতার অভাবে এডিশ মশা ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ায় এ আশংকার কথা জানালেন চিকিৎসকরা। 

গাংনী হাসপাতালে ভর্তি হিজলবাড়ীয়া গ্রামের ফরজ আলী বলেন, ডেঙ্গু কিভাবে ছড়ায় আর ডেঙ্গুর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। 

একই কথা জানালেন হিন্দা গ্রামের দিনমজুর আশিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাড়িতে মশারী টাঙ্গানো হয় না এবং কয়েল ব্যবহার করি না। ফ্যান চলে তাই মশা কম লাগে। 

রোগীর চাপে হাসপাতালের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মক বিঘ্নিত হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর পাশে অন্য রোগীরা আতংকে সময় পার করছেন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।  

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. বিডি দাস বলেন, দু’টি ওয়ার্ডে ৩২টি বেড। এর অর্ধেকের বেশি থাকে ডেঙ্গু রোগী। তাহলে অন্য রোগী কিভাবে চিকিৎসা দিব। সব সময় ডেঙ্গু রোগীদের দিকে নজর রাখতে হয়। দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও জনসচেতনতার অভাবে এডিশ মশা ছড়াছে বলে জানান এই চিকিৎসক।   

এদিকে, রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর) এর একটি গবেষণা দল গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নিয়ে গেছেন। নমুনা পরীক্ষা করে এডিস সম্পর্কে প্রতিবেদন দেবে আইইডিসিআর। প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে সংগ্রহ করা লার্ভা কী প্রকৃতির।  

কেএসটি
 

আরও পড়ুন