বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু আক্রান্ত মনির হোসেন (৩৪) নামের আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২১ আগস্ট) গভীর রাতে হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মনির বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রুকুনদি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত ১৮ আগস্ট মনির হোসেন ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে শেবাচিমে ভর্তি হয়। ২১ আগস্ট সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এ নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ জন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে মৃত্যু রোগীর সংখ্যা ৯ জন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে গৌরনদীতে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়।

এদিকে, শেবাচিমের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ১ হাজার ৪৩০ রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ হাজার ২৬৭ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ রোগী ৯৩ জন, মহিলা ৩৯ ও শিশু ৩১ জন।  গত ২৪ ঘণ্টায় (২১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ২২ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত) ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন ও বিদায় নিয়েছেন ৪১ জন। 

হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো, বাকির হোসেন ‘বৃহস্পতিবারের মধ্যে অর্ধশতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন জানিয়ে বলেন, প্রকৃতপক্ষে বরিশালে এডিস মশার উপদ্রব নেই। শেবাচিম হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি হয়েছে তারাই সবাই কোন না কোনভাবে ঢাকায় আসা যাওয়া করেছেন।

তবে বরিশাল নগরীর বাইরে অন্য জেলার কিছু রোগী পাওয়া যাচ্ছে, যারা নিজ এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। পরিচালক বলেন, ঈদে ঢাকার মানুষ বরিশালে আসে। এ কারণে ঈদের দু-একদিন পূর্বে থেকে ঈদ পরবর্তী কয়েকদিন শেবাচিম হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বেশি ছিল। তবে বর্তমানে তা কমতে শুরু করেছে।

কেএসটি