ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে বিরাজমান থমথমে পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এ দিকে নির্বাচন বয়কট করা বিরোধী দলগুলোর দাবি, কাশ্মীরে এবারের নির্বাচন সম্পূর্ণ ‘অগণতান্ত্রিক’। তাছাড়া এখনো রাজ্যের অনেক নেতাকর্মীসহ সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় কাশ্মীরি রাজনীতিবিদরাও এবার নির্বাচন আয়োজনের তীব্র সমালোচনা করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে নির্বাচনে মোট ২৬ হাজার ৬২৯টি গ্রাম পরিষদের প্রধানরা ৩১০টি আসনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাশ্মীরের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। এবার যদিও ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পিপলস কনফারেন্সের মতো বড় দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। যে কারণে প্রায় ৬০ শতাংশ গ্রাম পরিষদের আসন সম্পূর্ণ ফাকা থেকে যাবে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
মূলত সেই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত সেনা সদস্যকে। এমনকি গ্রেফতার করা হয় সেখানকার হাজার খানেক নেতাকর্মীকে।
এসকে