• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২০, ১২:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ৮, ২০২০, ১২:১০ পিএম

`অল ইজ ওয়েল‍‍` বললেন ট্রাম্প

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলা

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলা

ইরাকে দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানের শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দিলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা চালানোরও হুমকি দিয়েছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘণ্টা দুয়েক পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, ‘অল ইজ ওয়েল’।

ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুটি বিমানঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ‘ব্যালিস্টিক মিসাইল’ ছোড়ে ইরান। পেন্টাগন জানিয়েছে, এসব ক্ষেপণাস্ত্র ইরান থেকে ছোড়া হয়েছে।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড এই হামলার কথা স্বীকার করে বলেছে, বুধবার ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘এইন আল-আসাদ’ এর ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ঘাঁটিটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে সেজন্য ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ফের কোনো হামলা চালায়, তবে আরও কঠোর প্রত্যাঘাত করা হবে।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দিলে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইরান। আজ বুধবার লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানায় সিএনএন। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সেই সব মিত্রদের সতর্ক করছি, যারা এই সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে নিজেদের ঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। যেসব অঞ্চল বা এলাকা থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হবে, সেগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম এক বিবৃতিতে বলেন, ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় হামলা হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে পরামর্শও করছেন প্রেসিডেন্ট। 

হামলার ঘটনায় টুইটে প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘অল ইজ ওয়েল!’ সব ঠিক আছে! ইরাকে অবস্থিত দুটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে! বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী রয়েছে আমাদের! কাল সকালে আমি বিবৃতি দেব।’

এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামলার ব্যাপারে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলা হলেও পরে হোয়াইট হাউস জানায়, এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট ক্যামেরার সামনে আসবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুসারে তখন সেখানে মঙ্গলবার গভীর রাত।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বেসামরিক মার্কিন বিমানগুলোকে ইরাক, ইরান, পারস্য ও ওমান উপসাগরের ওপর চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য মার্কিন সেনারা প্রস্তুত।

সূত্র : বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা

এফসি

আরও পড়ুন