• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০১:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৮, ২০২০, ০১:১৪ পিএম

আজ ঘোষিত হবে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা

আজ ঘোষিত হবে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতা নিয়াহু - ফাইল ফটো

শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসতে যাচ্ছে বহুলালোচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে এ পরিকল্পনা প্রকাশ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিএনএন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গান্তজের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিবৃতির মাধ্যমে হোয়াইট হাউজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও ফিলিস্তিনি নেতারা ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এক টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনিরা শুরুতে পরিকল্পনাটি নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। কেননা তারা প্রথমে কোনো বিষয়ই মানতে চায় না। কিন্তু আমি মনে করি সর্বশেষে তারা এটাই চাইবে। কারণ এতে তারাই চূড়ান্ত লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, বাস্তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য এই শান্তি পরিকল্পনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা প্রক্রিয়াটি দেখতে চাই। আমি মনে করি, সবার জন্যই এটা খুব ভালো সুযোগ।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে আসবেন। তখনই মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

এ সময় মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই পরিকল্পনা নিয়ে আমার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সংক্ষিপ্ত পরিসরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সবদিক বিবেচনায় রেখেই এই পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।

ইতিহাস বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সব সময় ইসরায়েলের পক্ষে। ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতির দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরনের ঘোষণার পর দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনো শান্তি আলোচনায় মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতা মানবে না বলে ঘোষণা দিয়েছিল ফিলিস্তিন।

এসকে