দশম দিন পেরিয়ে একাদশে মিয়ানমারের সেনাশাসন বিরোধী আন্দোলন। দেশজুড়ে বিক্ষোভের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করে গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ করছে দেশটির সাধারণ মানুষ। গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন সড়কের প্রবেশমুখ বন্ধ করে রেখেছে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুধবারের দিনটিকে ‘রোড ব্লকিং ডে’ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে রাজপথে নেমেছে শিক্ষক-ছাত্রে, ডাক্তার-ব্যাংকারসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিভিন্ন রাজ্যে সেনাবাহিনীর বাজারজাত করা পণ্যও বয়কট করছেন সাধারণ জনগণ।
বুধবারের বিক্ষোভের সময় রাজধানীতে আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধের কারণে অচল হয়ে ইয়াঙ্গুনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেনা অভ্যুত্থানের পর এটিই সবচেয়ে বড় আকারের প্রতিবাদ বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীদের কয়েকটি সংগঠন। বিবিসির খবরে বলা হয়, আজ ইয়াঙ্গুনের প্রতিবাদ সমাবেশে এক লাখ মানুষ জড়ো হতে পারে।
মঙ্গলবার স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নতুন মামলার অভিযোগ গঠনের ঘোষণা দেয়ার পর উত্তেজনা বাড়তে থাকে প্রধান শহরগুলোতে। সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় জড়ো হতে শুরু করে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি, এনএলডির সমর্থকরা। সেনাবাহিনী নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরেও আশ্বস্ত হতে পারছে না সাধারণ জনগণ।
১ ফেব্রুয়ারি নতুন নির্বাচিত সরকারের নেতাদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশজুড়ে সেনাশাসনের অবসানের দাবিতে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ আর দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর ধরপাকড় নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে সেনা সরাকার।