• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২১, ০৯:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৩, ২০২১, ০৯:৪৭ পিএম

জি-৭ জোটকে চীনের সতর্কবার্তা!

জি-৭ জোটকে চীনের সতর্কবার্তা!

অল্প কিছু দেশ সারা বিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করবে, সেই যুগ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পরাশক্তি চীন। জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে চীনের এমন বিবৃতি জোটের প্রতি সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যে জি-সেভেন গোষ্ঠীর নেতারা বিশ্বব্যাপী চীনের বিনিয়োগ ও আধিপত্য বিস্তার ঠেকানোর যে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন দেশটির চীনা দূতাবাসের এক মুখপাত্র।

৪৭ তম জি-৭ সম্মেলনের শুরুর দিনেই উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবেলা আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চীনের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনাতেও একমত হয়েছেন বাকি সদস্যরা।

চীনের পুনরুত্থান ঠেকাতে হলে পশ্চিমা জোটকে এখনই সক্রিয় হতে হবে বলে মনে করেন জো বাইডেন। আর তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া ও অবকাঠামো প্রকল্পসমূহে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

একে চীনা কর্মসূচির বিকল্প হিসেবেই দেখছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন, জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলসহ বাকি নেতারা। এছাড়াও চীনের বেল্ট এ্যাণ্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কর্মসুচিকে টেক্কা দিতে নতুন প্রকল্পেরও প্রস্তাব করেছে জি-৭ জোট। পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলো বিপুল পরিমাণ ঋণ শোধ করতে না পারায় তাদের অর্থনীতি ও গণতন্ত্রে চীনের প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা তাদের। 

তবে চীনা দূতাবাস রয়টার্সকে জানায়, একটা সময় ছিল যখন কয়েকটি দেশ মিলে বৈশ্বিক সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করতো, কিন্তু সেই যুগ শেষ হয়ে গেছে। চীন বিশ্বাস করে, ছোট-বড়, শক্তিশালী বা দুর্বল, ধনী বা গরিব সব দেশই সমান। তাই বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ।

এর আগে চীনকে মোকাবেলায় ২৫ হাজার কোটি ডলারের প্রকল্প ঘোষণা করেছিল ওয়াশিংটন। প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্দেহবাতিকগ্রস্ত’। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চীনকে হুমকি হিসেবে দেখা বন্ধ করা উচিৎ।

মার্কিন সেনেটে অনুমোদিত বিলটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং সেমিকণ্ডাকটরের মত ক্ষেত্রে গবেষণা ও অর্থসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ। কেননা ইতোমধ্যেই এই খাতে বিশ্বে এগিয়ে যেতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছে চীন। ফলে প্রযুক্তি খাতের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো পিছিয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন