• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ১২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম

সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পাকিস্তানের সংসদ

সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পাকিস্তানের সংসদ

সরকারদলীয় ও বিরোধী সংসদ সদস্যদের (আইন প্রণেতা) মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাকিস্তানের পার্লামেন্ট।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, মঙ্গলবার জাতীয় পরিষদে ২০২১-২২ সালের বাজেট নিয়ে বিতর্ক আয়োজন করা হয়। শুক্রবার দেশটির অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন বাজেটটি উত্থাপন করেছেন। বাজেট বিতর্কের শুরুতে বিরোধীদলীয় (মুসলিম লীগ-নওয়াজ) নেতা শেহবাজ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা প্রতিবাদ শুরু করেন। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একপর্যায়ে রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের আইন প্রণেতারা বাজেট অধিবেশনে বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরিফের বক্তব্য দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যাহত করেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ওই সময় উভয় পক্ষ বাজেটের নথি ও বই ছুড়ে মারে। পিটিআইয়ের এক নারী আইন প্রণেতা মালেকা বোখারির চোখে বাজেটের একটি কপি লাগায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তার মারাত্মক কোনো ক্ষতি হয়নি। ওই সময় তাদের থামাতে ব্যর্থ হন স্পিকার আসাদ কায়সার। তাকে তিনবার পার্লামেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়।

অন্যদিকে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের যেকোনো আক্রমণ থেকে বাঁচাতে দলের সদস্যরা ঘিরে রাখেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) সভাপতি শেহবাজ শরিফকে।

শেহবাজ শরিফ পরে এক টুইটে তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, আজ পুরো জাতি তাদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন কীভাবে ক্ষমতাসীন দল গুন্ডাগিরি করছে। এটি প্রমাণ করে ইমরান খান ও তার দল নৈতিকভাবে কতটা নিচে নেমে গেছে। পিটিআই একটি ফ্যাসিবাদী ও নিপীড়নকারী দলে পরিণত হয়েছে।

এই ঘটনার জন্য বিরোধী দল দায়ী উল্লেখ করে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, মুসলিম লীগের এক সদস্য আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করলে পিটিআইয়ের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।