• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২১, ০২:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০২১, ০২:৪২ পিএম

মলত্যাগ করে আয় করুন মুঠো মুঠো

মলত্যাগ করে আয় করুন মুঠো মুঠো
সংগৃহীত ছবি

টয়লেটে গিয়ে মলত্যাগ করবেন। সে মল ব্যবহার করে উৎপাদন করা যাবে বিদ্যুৎ। আর সেই বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে ভবন। শুধু তাই নয়। চলবে গাড়িও।

এমনটাই বাস্তবে পরিণত করেছেন সাউথ কোরিয়ার একজন বিজ্ঞানী।

টয়লেটটির ডিজাইন করেছেন সাউথ কোরিয়ার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএনআইএসটি) এর আর্বান অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক চো জায়-এয়ন৷

তিনি পরিবেশবান্ধব ওই শৌচাগারের নাম দিয়েছেন বীভি৷ বী (Bee) এবং ভিশন (Vision) শব্দ দুটোর প্রথম অংশ নিয়ে তৈরি এই নামেই শুধু নয়, এর কার্যকারিতায়ও দূরদর্শিতার ছাপ রেখেছেন চো জায়-এয়ন৷

এই টয়লেটে রয়েছে মলকে মাটির নীচের এক ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা৷ ভবনের পাশেই রয়েছে ল্যাবরেটরি৷ মাটির নীচে মল থেকে তৈরি হয় মিথেন গ্যাস৷ ল্যাবরেটরিতে রাখা এক যন্ত্রের সহায়তায় সেই মিথেন থেকে তৈরি হয় বিদ্যুৎ৷

এক ব্যক্তি একবারে গড়ে ৫০০ গ্রামের মতো মলত্যাগ করে৷ সেই মল দিয়ে তৈরি হয় ০.৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ, যা দিয়ে একটা গাড়ি অনায়াসে ১.২৫ কিলোমিটার পথ চলতে পারে৷

টয়লেটে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থাই করেননি অধ্যাপক চো৷ মলের বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থাও রেখেছেন৷

জিগুল নামের এমন এক ভার্চুয়াল কারেন্সি তৈরি করেছেন যার বিনিময়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের দোকান থেকে নিয়মিত বই, নুডলস, বিভিন্ন ধরনের ফল, কফি ইত্যাদি কিনছেন৷

একবার টয়লেটে গেলে আয় হয় ১০ জিগুল৷ যার যত জিগুল জমবে, তত বেশি পণ্য কিনতে পারবে সে৷

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হেও হুই-জিন এমন আয় করতে পেরে মহাখুশি। তিনি বলেন, এতদিন মনে করতাম মল খুব নোংরা জিনিস, এখন সেই জিনিসই আমার কাছে খুব মূল্যবান৷ এখন তো খাওয়ার সময়ও কোনও বই কেনার কথা মাথায় এলে মল নিয়ে কথা বলি’! হিন্দুস্থান টাইমস। 

জাগরণ/এসএসকে