• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০১:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১, ০১:০৮ এএম

করোনা চিরতরে নির্মূল করবে সাপের বিষ

করোনা চিরতরে নির্মূল করবে সাপের বিষ
প্রতীকী ছবি

সাপের বিষে দূর হবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। সম্প্রতি এমন খবর দিয়েছেন ব্রাজিলের একদল বিজ্ঞানী। বলা হচ্ছে, জারারাকুসু নামে সাপের বিষে পাওয়া উপাদান বানরের শরীরের কোষে প্রয়োগের পর করোনার ক্ষমতা ৭৫ শতাংশ কমেছে।

সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক জার্নাল ‘মলিকিউলেস’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে বলে

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষণার লেখক রাফায়েল গুইদো বলেছেন, ‘আমরা এটা দেখাতে পেরেছি, সাপের বিষের বিশেষ উপাদানটি করোনাভাইরাস রোধে ৭৫ শতাংশ কার্যকর।’

জারারাকুসু পিট ভাইপার, ব্রাজিলের অন্যতম বৃহত্তম সাপের একটি। আটলান্টিক উপকূলীয় বনাঞ্চলে এদের বসতি। মারাত্মক বিষধর এই সাপ প্রায় ৬ ফুট লম্বা হয়ে থাকে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জারারাকুসু পিট ভাইপারের বিষে এক ধরনের বিশেষ কোষ থাকে। যা করোনার এনজাইম পিএলপ্রোর নিঃসরণ ব্যাপকমাত্রায় হ্রাস করতে পারে। বানরের কোষে এ পেপটাইড প্রয়োগে সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

অধ্যাপক রাফায়েল গুইদো বলেছেন, ভাইরাসটির পিএলপ্রো নামের একটি এনজাইম পুনরায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। সাপের বিষের উপাদানে থাকা ‘অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন’ ওই এনজাইমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।

মানবদেহে এই কোষের উপস্থিতি থাকলে করোনা সংক্রমণের বংশবিস্তার ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বানরের শরীরে আরও পরীক্ষার পর বিষের উপাদানটি মানুষের কোষের ওপর প্রয়োগ করা হবে।

অবশ্য, গবেষণা প্রকাশের পরই উদ্বেগ জানিয়েছেন ব্রাজিলের পরিবেশবাদী ও প্রাণী সংরক্ষণবাদী সংগঠনগুলো।

ব্রাজিলের বুতানতান ইনস্টিটিউটের সরীসৃপ গবেষক গিউসেপে পুয়োর্তো বলেছেন, বিষের খোঁজে দেশজুড়ে মানুষ এখন জারারাকুসু শিকারে বের হবেন। তাদের কাছে মনে হতে পারে বিশ্বকে রক্ষা করতে পারে এই সাপ। কিন্তু বিষয়টি আদৌ তা নয়। কেবল সাপের বিষই করোনা সারিয়ে তুলতে সক্ষম নয়।

ব্রাজিল ছাড়াও লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনায় দেখা মেলে জারারাকুসু সাপের। রয়টার্স।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ