• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৯:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯০ শতাংশ মামলার মীমাংসা হয় ’

‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৯০ শতাংশ মামলার মীমাংসা হয় ’
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন- ফাইল ছবি

দেশে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হয় আদালতে। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা পারস্পরিক বোঝাপড়া বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মীমাংসা হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ন্যাশনাল জাস্টিস অডিট বাংলাদেশ’ শীর্ষক শেয়ারিং ইভেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলা পারস্পরিক বোঝাপড়া বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মীমাংসা হয়ে থাকে।  বড়জোর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলা মীমাংসা হয় আদালতে। আর আমাদের দেশে এর চিত্র ঠিক তার বিপরীত। এদেশে বিচারপূর্ব স্টেজে কেবল ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মামলার মীমাংসা হয়ে থাকে। আর ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ মামলার মীমাংসা হয় আদালতে। এটাই বেশি মামলা জট সৃষ্টি করছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রতিদিন মামলাজট বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখ মানুষের বিপরীতে মাত্র ১০ জন বিচারক। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০৭, কানাডায় ৭৫, ব্রিটেনে ৫১, অস্ট্রেলিয়াতে ৪১ ও ভারতে রয়েছেন ১৮ জন বিচারক।

তিনি বলেন, দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রতি বুধবার সাধারণ ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির জন্য গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৬টি বেঞ্চকে এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। এসব বেঞ্চ সাড়ে তিন মাসে ৮০ হাজার ৭৩৪ মামলার মধ্যে ৪১ হাজার ৪৬৪টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ দেন প্রধান বিচারপতি।

অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পাদিত ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।

এ ফলাফল উপস্থাপনের পর সুপ্রিম কোর্টের উপস্থিত বিচারপতিদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, বিচারপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বিচারপতিরা মামলা জট কমানো এবং দ্রুত নিষ্পত্তিতে সাক্ষী সুরক্ষা আইন, দক্ষ প্রসিকিউটর নিয়োগ, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করা, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নজরদারি ও দুর্নীতি দমন কমিশনে পর্যাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটির চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের  বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য- রাখেন উন্নয়ন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর বাংলাদেশের প্রধান জুডিথ হারবার্টসন, জার্মান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মাইকেল শুলথহাইস ও জিআইজেড বাংলাদেশের রুল অব ল এর হেড অব প্রোগ্রাম প্রমিতা সেন গুপ্ত।

এমএ/টিএফ