• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৭, ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

হান্নানদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ১৪ জুলাই

হান্নানদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য ১৪ জুলাই

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ১৪ জুলাই (রোববার) দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দিন ধার্য করে এই আদেশ দেয়। 

আদেশে ওইদিন ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হান্নানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের প্রথম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারণ করেছে আদালত।

চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল এই  আদেশ দেয়।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সুবহান তরফদার।

২০১৫ সালের ১৯ মে হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।

২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই হান্নানকে রাজধানীর গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।

ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার হন বাকি তিনজন।

আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার আনা অভিযোগ—
প্রথম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহের গোলকীবাড়ী বাইলেনের প্রখ্যাত ভাস্কর আবদুর রশিদকে অপহরণ, নির্যাতনের পর জিপ গাড়ির পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে টেনে-হিঁছড়ে নির্মমভাবে হত্যা ও লাশ গুম।

দ্বিতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ২ আগস্ট ত্রিশাল থানার বৈলর হিন্দুপল্লি ও মুন্সিপাড়ায় অগ্নিসংযোগ, সেন্টুকে গুলি করে হত্যা ও দুইজন হিন্দুকে গুলি করে আহত, শহীদ আবদুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলি করে হত্যার ঘোষণা।

তৃতীয় অভিযোগ : একাত্তরের ৭ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে বৈলরের আবদুর রহমান মেম্বারকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

চতুর্থ অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে খন্দকার আবদুল আলী রতনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম।

পঞ্চম অভিযোগ : ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে মোহাম্মদ আবেদ হোসেন খানকে আটক, নির্যাতন ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর। এ ছাড়া ৭ থেকে ১০ আগস্টের মধ্যে কে এম খালিদ বাবুকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা ময়মনসিংহ শহরের জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল, অভিযুক্ত এম এ হান্নানের রামবাবু রোডের ৫৯ নং বাড়িকে ‘টর্চারসেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আসামিরা নতুন বাজারে অবস্থিত এম এ হান্নানের নিজ বাসভবন, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো টর্চার সেলে নিরিহ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে মরদেহ ব্রহ্মপুত্র নদের চরে ফেলেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ অঞ্চলে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এমএ/এসএমএম