• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ০১:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২, ২০১৯, ০১:১৯ পিএম

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘বালিশকাণ্ড’ তদন্তে রুল

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে  ‘বালিশকাণ্ড’ তদন্তে রুল


রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বালিশকাণ্ড তদন্তে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। রুলে বালিশসহ নানা আসবাবপত্র কেনা ও উত্তোলনে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সততা ও স্বচ্ছতা বজায় না রাখা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (জুলাই ২) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো.সরওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর বিছানা, বালিশ, আসবাবপত্র অস্বাভাবিক মূল্যে কেনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

আদেশে এ ঘটনায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
 
এ বিষয়ে আইনজীবী সায়েদুল হক সুমনের দায়ের করা রিটে এসব আদেশ দেয় আদালত ।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।

এর আগে ১৯ মে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী  ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হকসুমন জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন।

রিটে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, পাবনার গণপূর্ত অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর ভবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে গত ১৬ মে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।’

রিটকারী আইনজীবী জানান, ওইসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে এ আবেদনটি করা হয়েছে।

সুমন বলেন, ‘ওই প্রকল্পের জন্য গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য যে ভবন সেখানকার ফার্নিচার থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিস অস্বাভাবিক দামে কেনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এসব ওই ভবনে তোলার ক্ষেত্রেও অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে। এটি তদন্ত করার জন্য একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়েছি।’

এমএ/আরআই 

আরও পড়ুন