• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম

স্কুলছাত্র তিতাসের মৃত্যু : জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

স্কুলছাত্র তিতাসের মৃত্যু : জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

ভিআইপির জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুরবণ করেন নড়াইলের কালিয়ার স্কুলছাত্র তিতাস। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোমবার (২৯ জুলাই) কয়েকটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে।

তিতাসের বিদ্যালয়সহ উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে। ছাত্র ও শিক্ষকরা বিনা চিকিৎসায় ওই স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে ও ক্ষমতার দাপটে যারা ফেরি চলাচল বন্ধ করে তার চিকিৎসা কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে তাদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, কালিয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিএম শুকুর আলী, সহকারী শিক্ষক দেব কুমার ঘোষ, তরুন কান্তি মল্লিক, সাজ্জাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক  জামান হোসেন জন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছমিন জনি প্রমুখ।

এদিকে, তিতাসের বাড়িতে চলছে শোকের মাতাম। গত তিন দিনেও থামেনি তার স্বজনদের আহাজারি। 

মা সোনামনির আহাজারিতে উপজেলার বড়কালিয়া গ্রামের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। তিতাস ওই গ্রামের মৃত তাপস ঘোষের ছেলে ও কালিয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

পুত্র শোকে নির্বাক পাথর হয়ে গেছে তিতাসের মা সোনামনি ঘোষ। বাড়িতে থাকা ছেলের ব্যবহৃত পোশাক বুকে নিয়ে কখনও নিরবে চোখের পানি ফেলছেন আবার কখনও চিৎকার করে আহাজারি করে চলেছেন তিনি। সাংবাদিক পরিচয় পেতেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বললেন, তার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গেল। ছেলের চিকিৎসায় বাধা সৃষ্টিতে যারা দায়ী তিনি তাদের বিচার দাবি করেছেন।

তিতাসের বোন তনিষা ঘোষ অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ জুলাই তিতাস একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা ঢাকায় প্রেরণ করেন। পর দিন ২৫ জুলাই তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে ওইদিন রাত ৮টায় কাঠালবাড়ি ১ নম্বর ফেরিঘাটে পৌঁছালে তারা জানতে পারে একজন ভিআইপি আত্মীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাবেন তাই ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তার ভাইয়ের আশঙ্কাজনক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন মহলে ধর্না দিলেও কোন কাজ হয়নি। রাত ১১টার দিকে ওই ভিআইপির আত্মীয়রা এলে ফেরি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ফেরি পার হতেই তার ভাই বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

যারা বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে ফেরি আটকে তার ভাইয়ের চিকিৎসায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন  
তানিষা।

কেএসটি

আরও পড়ুন