• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০১৯, ০৮:৪৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৬, ২০১৯, ০৮:৩৫ পিএম

৪৮ বছরেও তালিকা সম্পন্ন হয়নি রাজাকারদের

৪৮ বছরেও তালিকা সম্পন্ন হয়নি রাজাকারদের
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক- ফাইল ছবি


মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তাকারী রাজাকারদের তালিকা করার দাবি অনেকেরই। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর হয়ে গেলেও রাজাকারদের তালিকা করা সম্ভব হয়নি। তবে রাজাকারদের তালিকা করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এজন্য করা হয় চারটি কমিটি। তারপরও সম্পন্ন করা যায়নি রাজাকারের তালিকা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, প্রথম কমিটি তথ্য-প্রমাণসহ রাজাকারদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় কমিটি এই তালিকা সঠিক কিনা তা তদন্ত করে দেখবে এবং তৃতীয় কমিটি তালিকা চূড়ান্ত করবে। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মতো আরও একটি কমিটিতে (চতুর্থ কমিটি) তা উপস্থাপন করবে।  

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক দৈনিক জাগরণকে বলেন, রাজাকারদের তালিকা করার জন্য আমরা প্রতিটি উপজেলায় তিন পর্যায়ের কমিটি করব। কারণ এই ৪৮ বছরে অনেক রাজাকারের সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক বা আত্মীয়তা হয়ে গেছে। কেউ হয়তো তাদের নাম বাদ দিতে চেষ্টা করবে। আবার কেউ হয়তো রাজাকার ছিল না কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি ঘটার কারণে তাকে রাজাকার বানানোর চেষ্টা করা হবে। এই ধরনের প্রবণতা থাকতে পারে। এছাড়া ওই সময়ের প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম কমিটি করব তাদেরকে নিয়ে, যারা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য-প্রমাণসহ রাজাকারদের তালিকা করবে। আরেকটি কমিটি এই তালিকা সঠিক কিনা তা তদন্ত বা যাছাই-বাচাই করে দেখবে। তারা তদন্ত করে মতামতসহ অপর আরেকটি কমিটির কাছে দেবে। যাদের তালিকা করা হয়েছে তারা রাজাকার নাকি রাজাকার নয় তা এই কমিটি ফাইনাল করবে। প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সহায়তা নিবে। কারণ জোট সরকারের আমলে রাজাকারদের উজ্জীবিত ও বিভিন্ন কাজের জন্য একটি নামের তালিকা রেখে গেছে। সে তালিকা আমাদের তদন্ত ও  যাছাই-বাচাইয়ের কাজে সহায়তা করবে।

এদের মধ্যে প্রথম কমিটি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রশাসনের সমন্বয়ে করা হবে। দ্বিতিয় কমিটি করা হবে সিভিল সোসাইটির লোকজনকে নিয়ে। তৃতীয় বা শেষের কমিটি হবে বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে।

মন্ত্রী বলেন, প্রক্রিয়াটি যাতে কোনোভাবেই বিতর্কিত না হয় এবং কোন নির্দোষ লোক যাতে অভিযুক্ত না হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করব। তিনটি কমিটি চূড়ান্ত করার পর জামুকার মতো আরও একটি কমিটিতে উঠানো হবে। তবে সেটি কী হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি বলে জানান মোজাম্মেল হক।

পুরো প্রক্রিয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি করার সঙ্গে সঙ্গে আইন করারও পরিকল্পনা আছে আমাদের। সেই কমিটিকে আমরা সাবেক বিচারপতিদের রাখার চেষ্টা করব, যাতে বিচারিক দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজে লাগে।

এইচএম/টিএফ