আগামী শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। সম্মানীত অতিথি হিসেবে থাকবেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং সভাপতি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’য় তুলে ধরা হয়েছে বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠির বৈষম্যমূলক আচরণ, নিপীড়ন, শোষণ। উঠে এসেছে বাঙালি জাতির প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচার এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের কর্তৃক সংগঠিত বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা। কানাডা প্রবাসী বিশিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা, মিডিয়া
শিক্ষক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ফুয়াদ চৌধুরী নির্মিত অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ক্ষমাহীন নৃশংসতা: বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে পাকিস্তানিদের অভিমত। ২০১৮ সালে নির্মিত ৫৪ মিনিট ব্যাপ্তিকালের এই প্রামাণ্যচিত্রটি প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী।
এই প্রামাণ্যচিত্রে অংশগ্রহণে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশিষ্ট জনের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের ৪ জন ব্যক্তিত্ব। তারা হলেন- রওশন জামির (১৯৭১ সালে যশোহর জেলার পাকিস্তানি প্রশাসক, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারী হিসাবে অবসর নেন), সাংবাদিক তারেক খান (১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান), মোয়াজ্জেম খান (১৯৭১ সালে স্কুলপড়ুয়া কিশোর মোয়াজ্জেম খান, বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সে কারণেই জেনারেল নিয়াজীর প্রতিবেশী ছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট), এবং লেখক ও কলামিস্ট তারেক ফাতাহ। এই চার প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিশিষ্ঠজনের বক্তব্য, বিশ্লেষণ, ক্ষোভ, তিরষ্কার আর নিপীড়িত, নির্যাতিত, অসহায় বাঙালি নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতার চিত্র নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরী নির্মাণ করেছেন এক অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’।
এসজে