• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাজশাহীর সামাদের মৃত্যুদণ্ড

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাজশাহীর সামাদের মৃত্যুদণ্ড
রাজাকার আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে রাজশাহীর আব্দুস সামাদ ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ট্রাইব্যুনাল এ  রায় দেন।

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে ছিলেন দুই প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত চলাকালীন নাশকতার অন্য এক মামলায় গ্রেফতার হন সামাদ। ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমভাগ এবং গোটিয়া গ্রামে আদিবাসী ও বাঙালিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালান আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খাঁ ওরফে মুসা রাজাকার।

এসময় তার নেতৃত্বে সেখানে চলে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা। ১৯৭১ সালের ১২ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পুঠিয়া আক্রমণ করে মানুষ হত্যা ও অগ্নিসংযোগ শুরু করলে মুসা হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন। একাত্তরের ১৯ এপ্রিল তিনি ৩০-৪০ জন হানাদার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তারা ২১ জনকে আটক করেন। তাদের নিয়ে রাখা হয় গোটিয়া গ্রামের স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বাড়িতে। সেখানে দিনভর নির্যাতন করে ১৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। হত্যা করা হয় চারজনকে। পুঠিয়ার দুর্গাপুরে তার নির্দেশে তাদের গুলি করে মারা হয়। এরপর মুসার নির্দেশে পশ্চিমভাগ মাদ্রাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আক্কেল আলীর ছেলে আবদুস সাত্তারকে। মুসা পশ্চিমভাগ সাঁওতাল পাড়ার আদিবাসী লাডে হেমব্রমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।


এমএ/বিএস

আরও পড়ুন