একাত্তরের বর্বর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে আমাদের তৎপর হবার সঙ্গে গণহত্যা অস্বীকারকে ‘অপরাধ আইন’ এর আওতায় আনার জন্যও তৎপর হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট লেখক শাহরিয়ার কবির। তিনি বলেছেন, একাত্তরে বিশ্বের বিভিন্ন পরাশক্তি পাকিস্তানের পক্ষালম্বন করলেও সেসব দেশের গণমাধ্যম পাকিস্তানি গণহত্যার সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করে এই গণহত্যার ঐতিহাসিক প্রমাণ নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান ও এর সুবিধাভোগী চক্র নানাভাবে গণহত্যার ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যার কারণ এবং গণহত্যাকারীদের বিচার’ শীর্ষক আলোচনায় একক বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমির সঙ্গে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ছিল নিবিড় সম্পর্ক। তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনোভাবেই একাডেমির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলা একাডেমি শহীদ বুদ্ধজীবীদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে প্রকাশ করেছে শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ, শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারকগ্রন্থ, নবপর্যায়ে পুনর্বিন্যস্ত চারটি খণ্ডে ‘স্মৃতি: ১৯৭১’ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রচনাসমগ্র। আমাদের স্মৃতিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা চিরজাগ্রত থাকবেন তাদের অগ্রবর্তী চিন্তা ও সাহসী কর্মে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, দেশের জন্য একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ কখনই বিস্মৃত হওয়ার নয়।
আরএম/ এফসি