• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০১৯, ০২:১২ পিএম

আবারো রাবির এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি

আবারো রাবির এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি

 

সর্বহারা পরিচয় দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষককে হত্যার হুমকির মধ্যেই আবারো এক শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে গত তিন দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন শিক্ষককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্যাম্পাসের মধ্যেও বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যেও নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা কাজ করছে।

হুমকিপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জুলফিকার আলী। অধ্যাপক ড. জুলফিকার আলী বলেন, শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার পরে সর্বহারা পরিচয় দিয়ে স্বপন কুমার নামে একজন ফোন করে। ফোনে অন্য দুই শিক্ষকের মতো আমাকেও হত্যার হুমকি দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যার এমন হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অফিসিয়ালি ও প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখার চেষ্টা করছি। থানায় সাধারণ জায়েরির (জিডি) চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৬টা ৫২ মিনিটে ০১৭২৫-৬৬৪৯৭২ নম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলামকে হুমকি দেয়। এছাড়া ২০১৫ সালে একইভাবে ড. আমিনুল ইসলামকে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
তাছাড়া দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহতাসিম বিল্লাহকেও ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে একই নম্বর থেকে ও ফোন করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এঘটনায় ওই শিক্ষকরা নগরীর মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একের পর এক হত্যার হুমকি দেওয়ায় উদ্বেগ ও শঙ্কা কাজ করছে। এনিয়ে ক্যাম্পাসে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হত্যা এটি উদ্বেগজনক। আমরা সাধারণ মানুষ। বারবার হুমকি আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগজনক। আমরা চাই, এই ধরনের হুমকিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনানুগ পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখবে এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান জানান, হত্যার হুমকিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা আমাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। তারা বিভাগভিত্তিক আলোচনার পর লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

কেএসটি