• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

খাল এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়

খাল এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়

 

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহমান সদ্য খননকৃত পানার খাল এখন ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশনের পথ। স্থানীয় দোকানদার ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে এবং খালের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

জানা গেছে, গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৯,৯৪, ৬৫০ টাকা ব্যয়ে ১.৫ কিলোমিটার পানার খাল পুনঃখনন করেন। খালটি পুনঃখনন করার ফলে বাগেরহাটের সদর উপজেলার ষাটগুম্বজ রাখালগাছি খানপুর ও পিলজংগ ইউনিয়নের সকল পানি এই পানার খাল দিয়ে প্রবাহিত হতো। কিন্তু গত কয়েক বছর যেতে না যেতেই কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী সেই খালে ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা আবর্জনায় খালটি ভরাট হচ্ছে না, সেই সঙ্গে পানার খালে প্রচুর পরিমাণে ধাপ জমে ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনে চরম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যুগীখালী নদীর মোহনা অর্থাৎ ব্রিজের পাশ দিয়ে পানার খালটি কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের উপর দিয়ে শ্যামবাগাত ও টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের মধ্যদিয়ে খালটি প্রবাহিত হয়েছে। এই খালটির কাটাখালী অংশের বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় কিছু হোটেল ও ফল ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলে খালের মূল পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট করে ফেলেছেন। 

তাছাড়া কিছু কিছু স্থানে খালের বেশ কয়েকটি অংশ দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আর ময়লা আবর্জনায় খালের মূল খননকৃত অংশ চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। 

অপরদিকে, কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের স্বনির্ভর খালের মুখে বিপুল পরিমাণে ময়লা আবর্জনা ফেলে মূল মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই স্বনির্ভর খাল দিয়ে পিলজংগ রাখালগাছি ও ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পানি সরবরাহ হয়ে থাকে। বর্ষা মৌসুমে প্রবাহমান পানি সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্যার রূপ চরমে পৌঁছানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর বন্যা হলে হাজার হাজার কৃষককের পানের বরজ, কৃষি ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত ময়লা আবর্জনা, অবৈধ দখল উচ্ছেদ জরুরি হয়ে পড়েছে।

কেএসটি