• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০১৯, ০৯:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৫, ২০১৯, ০৯:১০ এএম

পুঠিয়ায় রাতারাতি গড়ে উঠছে ফার্মেসি, মেয়াদহীন ওষুধের ছড়াছড়ি

পুঠিয়ায় রাতারাতি গড়ে উঠছে ফার্মেসি, মেয়াদহীন ওষুধের ছড়াছড়ি

রাজশাহীর পুঠিয়ায় কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনহীন অনেক ফার্মেসি গড়ে উঠেছে। আবার এসব ফার্মেসিতে মেয়দ উত্তীর্ণ ও  নিন্মমানের ওষুধ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে রোগীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ কেমিস্টস ড্রাগিস্টস সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার অনুমোদন নিয়ে উপজেলা জুড়ে প্রায় দুই শতাধিক ফার্মেসি গড়ে উঠেছে। কিন্তু অধিকাংশ ফামের্সির সরকারি নিয়ম অনুযায়ি বৈধ কাগজপত্র নেই।

ওষুধ ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, নিয়ম অনুসারে একটি ওষুধের দোকান করতে হলে প্রথমে স্থান, পরিবেশ ও ঘরের পরিমাপ নির্ণয় করতে হয়। এরপর স্থানীয় এলাকার ট্রেড-লাইসেন্স করতে হয়। যিনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন তার ফার্মাস্টিকাল লাইসেন্স থাকতে হয়। এছাড়া ব্যবসা পরিচালনা করতে করের টিআর নম্বার ও নিজ জেলার বাংলাদেশ কেমিস্টস ড্রাগিস্টস সমিতির অনুমোদন প্রয়োজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা সদরসহ প্রত্যান্তঞ্চলের হাট-বাজারে রয়েছে দুই শতাধিক ওষুধের দোকান। এর মধ্যে মুদি দোকানরাও স্বল্প পরিসরে ফার্মেসি খুলে বসেছেন। এদের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। ড্রাগ সুপারকে মাঝে মধ্যে উপজেলা সদরে দেখা গেলেও প্রত্যান্তঞ্চলে কোনো খোঁজ খবর রাখেন না তিনি। ফলে এসব দোকানদারা বাধাহীনভাবে ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ওষুধ ব্যবসায়ী জানান, আমারা ড্রাগ সমিতি সদস্য হওয়ায় আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা সমিতি ম্যানেজ করে। সে জন্য চুক্তি মোতাবেক সমিতির মাধ্যমে ড্রাগ সুপারকে প্রতি মাসে টাকা দিতে হয়।

ড্রাগিস্টস সমিতির উপজেলা সভাপতি মকলেছুর রহমান রাজু জানান, ওষুধ ব্যবসায়ীরা নিজের নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমার কাছে অনেক ক্রেতারা অভিযোগ করেন, দোকানদার অতি নিন্মমানের ওষুধ বিক্রি করছে। কিন্তু নিন্মমানের ওষুধ বিক্রির বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমার নয়। সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখবেন।

ড্রাগিস্টস সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সদস্য মোশারফ হোসেন জানান, পুঠিয়া উপজেলায় বর্তমানে নতুন পুরাতন মিলে ৩০টির মতো রাজশাহী জেলা শাখার ড্রাগ লাইসেন্স থাকতে পারে। বাঁকি দোকানগুলো কী ভাবে চলছে তা আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ কেমিস্টস ড্রাগিস্টস সমিতির রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল বাছেদ জানান, আমি একাই রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করছি। লোকবল সংকটের কারণে সঠিকভাবে সব কিছু দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সমিতির সঙ্গে আমার কোনো লেনদেন নেই। আমরা সমিতির মাধ্যমে শুধুমাত্র লাইসেন্স দিয়ে থাকি।

এসসি/