• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম

বৈশাখ বরণ শেষে ফের আন্দোলনে ববি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

বৈশাখ বরণ শেষে ফের আন্দোলনে ববি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা

বাংলা নববর্ষ বরণ শেষে ফের আন্দোলন শুরু করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীরা এবং ৮ দফা দাবিতে শিক্ষক সমিতি পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ভিসি’র পদ্যাগ অথবা ছুটিতে যাবার বিষয়টি লিখিত আকারে না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভিসি বিরোধী চলমান আন্দোলনের ২১ তম দিন সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের নীচ তলায় অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ভিসি’র পদত্যাগ অথবা পূর্ণ মেয়াদে ছুটিতে যাওয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষকরা। ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ববি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম জানান, ‘বাঙালির প্রাণের উৎসব হলো নববর্ষ বরণ। এজন্য রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের দিন আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ছিলো। তবে আমরা বৈশাখ বরণে যেসব কর্মসূচি পালন করেছি তার মাধ্যমেও ভিসি’র পদত্যাগ জানানো হয়। এটিকে আন্দোলনের একটি অংশ বলা যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের একদিন পরে ভিসির পদত্যাগ বা পূর্ণ মেয়াদে ছুটির দাবিতে পুনরায় আন্দোলন কর্মসূচি পালন শুরু করেছি। তবে দেশবাশী এখনো বৈশাখী উন্মাদনায় রয়েছে। তাদের কথা ভেবে আমরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে না গিয়ে আপাতত  পূর্বের ন্যায় ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে যৌক্তিক ও তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ত্বতা প্রকাশ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা নানা ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছে। আমরা আমাদের ৮ দফা যৌক্তিক দাবি আদায়ে দুই ঘণ্টা করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। দাবি না মানা হলে আরো বড় কর্মসূচি দেয়ার কথা বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচির আয়োজন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেন ভিসি। এজন্য ২৬ মার্চ থেকেই তার পদত্যাগ দাবিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন দমাতে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনার পর হল ত্যানের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সিটি মেয়র’র উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠকের পরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

সবশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে যাবার আবেদন করেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে। কিন্তু ছুটির এই আবেদন লোকদেখানো দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে রেজিষ্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান ও জনসংযোগ বিভাগের চলতি দায়িত্বে উপ-পরিচালক ফয়সল আহমেদ রুমিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা এবং ভিসি’র পদত্যাগ দাবিতে ৪বার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। ভিসি’র পদত্যাগ বা স্থায়ী ছুটিতে যাবার বিষয়টি লিখিতভাবে না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

এসসি/