সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী ও সাম্প্রদায়িক প্রার্থীকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট।একই সঙ্গে তারা নির্বাচনের ইশতেহারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি অন্তর্ভুক্তির দাবিও জানায়। 

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।   

সংগঠনের মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে ব‌লেন, আমরা সরকার ও রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যেন, এবারের নির্বাচনে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাউকে নমিনেশন দেয়া না হয়। কিন্তু দেখা গেলো বিভিন্ন দল বা জোট তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। কোনো দলই আমাদের কথা রাখেননি।তাই হিন্দু মহাজোটের মূল স্লোগান হবে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীকে ভোট দেবো না, ভোট দিবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি ছিল, সাংখ্যানুপাতিক হারে যেন মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু সেটাও কোনো দল করেনি। বরং বিগত নির্বাচনের চেয়েও এবার কৌশলে কমিয়ে আনা হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে শুধু দেশ হিন্দু শূন্য হবে না বরং জাতীয় সংসদও হিন্দু শূন্য হবে।

জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সহ-সভাপতি সমীর সরকার বলেন, হিন্দু ভোটারদের বলবো, যে সমস্ত প্রার্থী বিগত দিনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত বা উস্কানি দিয়েছেন এবং স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক তাদের যেন ভোট না দেয়া হয়।

এসময় চারটি লিখিত দাবি উত্থাপন করে সংগঠনের নেতারা। 

দাবিগুলো হলো- নির্বাচন উপলক্ষে হিন্দু নির্যাতন নিরোধ কল্পে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচনি ইশতেহারে একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন উল্লেখ করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনের আগে ও পরে যে নির্যাতন হয় সে সমস্ত এলাকায় ভোট স্থগিত করতে হবে এবং তদন্ত কমিটি করে যে দলেরই হোক না কেন, প্রকৃত অপরাধীদের যেন গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হয়।

আনু/এনএ/বিএস