• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০১৯, ১০:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৭, ২০১৯, ১০:০০ এএম

আখাউড়ায় মৌসুমি ফলের বাজার জমে উঠেছে

আখাউড়ায় মৌসুমি ফলের বাজার জমে উঠেছে

এখন মধু মাস। আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম আর আনারসের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে চারদিক। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সর্বত্র হাট বাজারে মৌসুমী ফলের বাজার জমে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, লটকন, বাঙ্গি আনারসসহ হরেক রকমের ফল বাজারে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানায়, এ বছর মৌসুমী ফলের ভালো উৎপাদন হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ওইসব ফল নিয়ে বিক্রি করছে।  

এদিকে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আম, কাঁঠাল, আনারসসহ অন্যান্য ফল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া চাষীরা ও প্রতিদিন স্থানীয় বাজারগুলোতে লিচু, আম, কাঁঠাল, আনারস বিক্রি করতে রিকশা, ভ্যান, বাইসাইকেল, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে এনে বিক্রি করছেন। 

বাজারে প্রতি কাঁঠাল ৫০ থেকে ২৫০ টাকা, ১ হালি আনারস ১২০-২০০ টাকা ও আম প্রতিকেজি ৬০-৯০ টাকা, ১শ লিচু ১৮০-২৩০ টাকা জাম প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার আজমপুর, চানপুর, আনোয়ারপুর, কল্যানপুর, দুর্গাপুর, হিরাপুর, আবদুল্লাপুর, বাউতলা, তুলাইশিমুল, খারকোট, মিনারকোট, মনিয়ন্ধসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা ওইসব ফলের এক নির্ভর বিপ্লব ঘটিয়েছে। বর্তমান ফলের ভরা মৌসুমি হওয়ায় ওইসব এলাকার শত শত লোক গাছ থেকে ফল পেরে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফল ক্রেতা মো. মহসিন মিয়া বলেন, এখন ফলের মৌসুম থাকায় আম ও লিচু কেনা হয়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে মনে হয়। 

গৃহিনী ফাতেমা বেগম বলেন মৌসুমি ফল মেয়ের বাড়িতে দেয়ার জন্য ২টা কাঁঠাল, ১ হালি আনারস, ৫কেজি আম কেনা হয়। মনে হচ্ছে গত বছরের চেয়ে দাম বেশি। 

উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের চাষী ফরিদ মিয়া বলেন, গত ১ সপ্তাহ থেকে কাঁঠাল, আম ও জাম বিক্রি শুরু হয়েছে। বিক্রিতে ভালই লাভ হচ্ছে বলে জানায়। 

মো. লিয়াকত বলেন, লিচু বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়। ৩টি বাগানে এ পযর্ন্ত ১ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন এখানে পাটনাই ও বুম্বাই জাতের লিচুর চাষ হয় বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. কালু মিয়া বলেন, ফলের দাম অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশ কম রয়েছে। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে আরও কমে যাবে। বাজারে ভালো জিনিস বিক্রি করতে চেষ্টা করছি। 

উপজেলার রাজাপুর এলাকার কাঁঠাল চাষী মো. তাজু ভূঁইয়া বলেন, আমার ৩টি কাঠাল বাগানে ৮০টি গাছে ফলন ভাল হয়েছে। গত এক সাপ্তাহ পূর্বে থেকে কেনা বেচা শুরু হয়েছে। এপযর্ন্ত ১৫ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করা হয়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে ও যাবতিয় খরচ বাদে ৬০ হাজার টাকারও বেশি আয় হবে বলে জানায়। 

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. একরাম হোসেন বলেন এ মৌসুমে আম, লিচু, কাঁঠালের ফলন ভাল হয়েছে। ফলন ভাল করতে সব সময় স্থানীয় চাষীদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। 

টিএফ