• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:০১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৯:৪৭ এএম

‘এইটা রুটি-রুজির উপর আঘাত’ 

আজও সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের ঘোষণা রিকশাচালকদের

আজও সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভের ঘোষণা রিকশাচালকদের
রিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ: ছবি- কাশেম হারুন

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে চতুর্থ দিনের মত আজ বুধবারও ফের রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে রিকশা চালকরা।

গতকাল মঙ্গলবারের মতো আজও প্রগতি সরণির নতুনবাজার থেকে শুরু করে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ মুগদা ও গোলাপবাগ এলাকায় অবস্থান নেবেন রিকশা চালকরা। তারা রাস্তায় গাছ ও আসবাবপত্র ফেলে মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।  

রাজধানীর তিনটি সড়কে রিকশা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত রিকশামালিক ও চালকেরা তা তুলে নেয়ার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন সড়ক অবরোধ করেন। তারা ঢাকার সব সড়কে রিকশা চলাচলের দাবি জানান। 

আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা মহানগর রিকশা চালক ও মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল খান বলেন, এ আন্দোলন আমাদের রুটি রুজির বিষয়। আমরা আজ তিন দিন বসে আছি। আমাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে, তা আমরা হতে দিব না। দ্রুত তাদের এ ঘোষণা  প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তারপরই আমরা দক্ষিণের মেয়রের চায়ের দাওয়াতে যাব।  

উল্লেখ্য, ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর তিনটি প্রধান সড়কে রিকশা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয় ঢাকার দুই করপোরেশন। এ সিদ্ধান্তকে তাদের রুটিরুজির ওপর আঘাত বলে অভিযোগ করছেন রিকশাচালকরা।

রিকশাচালকরা বলছেন, তাদের বিকল্প কোন কর্মসংস্থান করে দেয়া হয়নি বা করে দেয়া হবে এরকম আশ্বাসও কেউ দেয়নি। অনেক রিকশাচালক বলেন, আমরা দিন এনে দিন খাই। আমি, আমার পরিবারের সদস্যরা এখন কোনোরকম দোকান থেকে বাকি নিয়ে তিন বেলার এক বেলা পাউরুটি, বিস্কুট খাচ্ছি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে প্রায় ৮ লাখ রিকশা আছে। রিকশা চালনার সঙ্গে জড়িত আছে আরও কয়েক লাখ পরিবার। ফুটপাতের উপরে যারা খাবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের অবস্থাও শোচনীয়। তাদের প্রধান ক্রেতা ছিলো রিকশাচালকরা।

রিকশাচালকদের রাস্তা অবরোধ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।  এর ফলে দিনভর নতুন বাজার-বাড্ডা-রামপুরা মালিবাগ-গোলাপবাগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে । সড়ক অবরোধ ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় কার্যত অচল হয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি বেসরকারি অফিস আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

গতকাল রাত সাড়ে ৮টা দিকে রিকশাচালকরা রাস্তা ছেড়ে চলে যায়।। রিকশা চালকরা বলেছেন, তাদের রুটি রুজির উপর হাত পড়েছে। তাদেরকে আগের মতো সকল সড়কে রিকশা চালানোর  বৈধতা দিতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলছে। 

এইচএম/আরআই

আরও পড়ুন