• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৫, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম

মশা মারার কার্যকর ওষুধের পরীক্ষা চালিয়েছে ডিএসসিসি

মশা মারার কার্যকর ওষুধের পরীক্ষা চালিয়েছে ডিএসসিসি

মশা নিধনে দ্বিতীয় আরেকটি ওষুধের পরীক্ষা চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ‘লিমিট লিকুইড ইনসেক্টিসাইড পিএইচপি-২০৫’ নামে এ ওষুধটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। পরীক্ষায় মোট তিনটি নমুনার মধ্যে একটি শতভাগ, আরেকটি ৯৮ ভাগ এবং তৃতীয়টি ৭৬ ভাগ মশা মারতে সক্ষম হয়েছে। নিয়মানুযায়ী ৮০ ভাগ মশা মরলেই সে ওষুধকে কার্যকর বলা হয়ে থাকে। গত শনিবার নগরভবনে মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষার পর রোববার এ ফলাফল জানানো হয়। 

গত শুক্রবার প্রথম দফা ভারতীয় একটি কোম্পানির ওষুধের পরীক্ষা চালিয়েছিল ডিএসসিসি। সে ওষুধের মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মাত্র ২৬ শতাংশ মশা মারা যায়। এর পরদিন শনিবার ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কাস লিমিটেডের সরবরাহ করা ‘লিমিট লিকুইড ইনসেক্টিসাইড পিএইচপি-২০৫’ (রেডি ফর ইউজ) ওষুধের মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা চালানো হয়। ২৪ ঘণ্টার পর গতকাল ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি পরীক্ষা চালানো বাক্সগুলো খোলেন। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন দৈনিক জাগরণকে বলেন, সরবরাহকৃত ওষুধের তিনটি নমুনা নিয়ে মোট ৯টি খাঁচায় পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি খাঁচায় ৫০টি করে মশা রাখা হয়। পরীক্ষায় একটি নমুনার তিনটি খাঁচায় সবগুলো মশায় মারা গেছে। দ্বিতীয় নমুনার তিনটি খাঁচায় ৯৮ দশমিক ৩৩ ভাগ মারা গেছে। তৃতীয় নমুনার তিনটি খাঁচায় গড়ে ৭৬ দশমিক ৩৩ ভাগ মশা মারা গেছে। 

ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষায় যদি ৮০ ভাগ মশা মারা যায় তাহলে সে ওষুধ কার্যকর বলে প্রতিয়মান হয়। সে হিসেবে দুটি নমুনার ওষুধ কার্যকর হবে এবং ৭৬ দশমিক ৩৩ ভাগ মশা মারা যাওয়া ওষুধের নমুনা অকার্যকর হিসেবে প্রতিয়মান হবে। 

ডিএসসিসির ভান্ডার ক্রয় বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসি আগে থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কাস লিমিটেডের সরবরাহ করা মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করতো। সে ওষুধও মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা চালিয়েই প্রয়োগ করা হত। কিন্তু ওষুধ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হওয়ায় আবারো নতুন ওষুধ সরবরাহ করেছে তারা। এ ওষুধ মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় এখন ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ উপযোগী মনে করলে এ ওষুধ ব্যবহার করতে পারবে। জানা যায়, এ ওষুধ কার্যকর ঘোষণা দিলে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কার্স লিমিটেড ৪০ হাজার লিটার এডালটিসাইড কীটনাশক ডিএসসিসিকে সরবরাহ করবে। 

ঢাকা উত্তরের নিষিদ্ধ ওষুধ দক্ষিণেও সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা লিয়াকত হোসেন বলেন, উত্তর এবং দক্ষিণের ওষুধ আলাদা। এখানে সরবরাহ করা ওষুধ মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল গ্রহণ করা হয়। 

এ বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা কার্যকর ওষুধ সংগ্রহ করতে বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা চালাচ্ছি। সব পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর কোন ওষুধটি কার্যকর তা সবাইকে জানানো হবে।


টিএইচ/টিএফ

আরও পড়ুন