• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২০, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২০, ২০১৯, ০৭:৫৮ পিএম

‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া মিল্ক ভিটার ৪ হাজার একর জমিই বেহাত’

‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া মিল্ক ভিটার ৪ হাজার একর জমিই বেহাত’

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডকে (মিল্ক ভিটা) গো-চারণের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫ হাজার একর ভূমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পাবনা ও সিরাজগঞ্জে এসব জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এর মধ্যে চার হাজার একর জমি বেহাত হয়ে গেছে। বেহাত হওয়া এসব জমি দীর্ঘদিনেও উদ্ধার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।

মিল্ক ভিটার জমি বেহাত হওয়ার বিষয়ে বৈঠক শেষে আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মিল্ক ভিটাকে ৫ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। বেহাত হতে হতে এখন মিল্ক ভিটার হাতে এক হাজার একরের মতো জমি আছে। মিল্ক ভিটার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে অসাধু লোকজন জমি বরাদ্দ দিয়ে দখল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করেছে। এসব জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটা কখনও আইনি লড়াইয়ে যায়নি। কমিটি এ জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

মিল্ক ভিটার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে এসব জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুই জেলার প্রায় সাড়ে ৫০০ সমিতির ২৫ হাজার খামারি মিল্ক ভিটায় দুধ সরবরাহ করেন।

এছাড়া, কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে সিসার উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠকে মিল্ক ভিটার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের পাস্তুরিত দুধে সহনীয় মাত্রার চেয়ে কম সিসা রয়েছে। এসময় মিল্ক ভিটা কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরে।

বৈঠকের পরে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্ক ভিটার দুধে যে পরিমাণ সিসা পাওয়া গেছে তা পানি থেকে গবাদি পশুর শরীরে যায়। আমরা এ বিষয়ে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার সুপারিশ করেছি।

এইচএস/ এফসি

আরও পড়ুন