• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৫:১২ পিএম

যেদিন দাম কমবে, সেদিন থেকে আবার পেঁয়াজ খাব : প্রধানমন্ত্রী

যেদিন দাম কমবে, সেদিন থেকে আবার পেঁয়াজ খাব : প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -সংগৃহীত

দেশের বাজারে অগ্নিমূল্যে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার। আর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিয়ে এই বিষয়েই মোদী সরকারকে খোঁচা দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক হলেও মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে এই প্রথম ভারত সফরে গেলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘আপনারা কিছু না জানিয়েই পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দিলেন। এতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আমি জানি না, কেন পেঁয়াজ যাচ্ছে না। তবে আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, খাবারে পেঁয়াজ দেবে না’ বক্তব্য রাখতে উঠে এমনই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তৃতার সাড়া দেন আর হাসি-করতালিতে মেতে উঠেন।

তবে পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় এক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি জানিয়েছেন, ‘যেদিন থেকে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, সেই দিন থেকে তিনিও কোনও রান্নায় পেঁয়াজ খাচ্ছেন না।

কাকতালীয়ভাবে যেদিন বাংলাদেশ থেকে প্রথম দফায় ২৫ টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে সেদিনই ভারত সাময়িকভাবে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা হাসতে হাসতে বলেন, ‘পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে বলেছি। যেদিন দাম কমবে, সেদিন থেকে আবার পেঁয়াজ খাব।’

দাম নিয়ন্ত্রণে বিদেশে পেয়াঁজ রফতানি বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। এছাড়াও পেঁয়াজ মজুদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম এই সময় ও আজ বিকেলের

আগাম নোটিশ ছাড়াই গত ২৯ সেপ্টেম্বর (রোববার) বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার৷ যার ফলে হঠাৎ করে পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়৷

এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, ‘এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না৷’ তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও পণ্য রফতানি বন্ধ করা হলে, তা যেন আগে থেকে জানানো হয়৷ যাতে পণ্য সঙ্কট দেখা দিলে দেশের সরকার সমস্যার সমাধান করতে পারে৷

দেশের মূল পেঁয়াজ সরবরাহকারী রাজ্য মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে একটানা বৃষ্টির প্রভাবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ যার ফলে জোগানের অভাব না থাকলেও, পেঁয়াজের সরবরাহ এবং পরিবহন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ভারত সরকারকে৷ সে কারণে দেশের বাজারে অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ৷ যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে৷

এসএমএম

আরও পড়ুন