• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০১৯, ০৮:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৫, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম

সৌদি থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন নাজমা

সৌদি থেকে লাশ হয়ে ফিরলেন নাজমা

ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! সংসারের অভাব মোচন করতে দালালের মাধ্যমে বড় আশা নিয়ে দরিদ্র নাজমা মাত্র বছরখানেক আগে পাড়ি জমান সৌদি আরবে। কিন্তু দারিদ্র্য মোচন দূরে থাক, উল্টো লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।

বাঁচার অনেক আকুতি জানিয়েছিলেন নাজমা। কিন্তু কারো কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি। অবশেষে সৌদি আরবের হায়ানাদের থাবায় গত ২ সেপ্টেম্বর সৌদিতে মারা যান নাজমা।

সৌদি আরবে নিহত নারী শ্রমিক নাজমা বেগমের (৪০) মরদেহ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। লাশ গ্রহণ করে রাতেই মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনেরা।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে নাজমা টেলিফোনে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে স্বজনদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন।

ফোনালাপে নিহত প্রবাসী শ্রমিক নাজমা বলেন, ‘আমি জায়গায় মরে যামু। আমি আর কুলাতে পারছি না। আমি মরে গেলে তো আমার পোলা-মাইয়ার চেহারাও দেখতে পামু না। আল্লাহ, আমি এখন কী করমু?’ জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নাজমার ছিল আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার আকুতি। ছিল দেশে ফেরার শতচেষ্টা।

কিন্তু দালালের হাত-পায়ে ধরেও হতভাগ্য নাজমাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি দরিদ্র পরিবারটি। এমনকি সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে নাজমার মরদেহ পড়ে থাকলেও দেশে আনতে পারছিলেন না। পরে গত ২ অক্টোবর বেসরকারি টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হলে স্থানীয় প্রশাসন মরদেহ আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। নানা প্রক্রিয়া শেষে প্রায় ৫৩ দিন পর নাজমার মরদেহ দেশে এল।

১১ মাস আগে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমান নাজমা। হাসপাতালে ক্লিনারের চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে পাঠানো হলেও কাজ দেয়া হয় বাসাবাড়িতে। সেখানে তাকে যৌন নির্যাতনসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হতো।

এনআই

আরও পড়ুন