• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০১৯, ০২:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৫, ২০১৯, ০২:৫১ পিএম

আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জয়ের আসার এখনও আগ্রহ নেই : কাদের

আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে জয়ের আসার এখনও আগ্রহ নেই : কাদের
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের -ছবি : জাগরণ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আসা প্রসঙ্গে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এখানে জয়ের ইচ্ছার ব্যাপারও আছে। নেত্রীকে এ নিয়ে কোনও কিছু বললে তিনি বলেন, জয় তো আসতে চায় না। এখনও তার আসার আগ্রহ নেই।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আরও কেউ অপরিহার্য় ব্যক্তি নন বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বার বারই নেত্রীকে বলে আসছি, যে জয়কে পরবর্তীকালের জন্য গ্রুমিং করার বিষয়টা। এটা নেত্রীর সিদ্ধান্তের ব্যাপার। জয়ের নিজেরও ইচ্ছার ব্যাপার। যেভাবে আছেন সেভাবেই তিনি আপাতত থাকতে চান। আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের কোনও পদে, যেমন পীরগঞ্জে তাকে মনোনয় দেয়ার জন্য সেখানে থেকে অনেক দাবি ছিল, কিন্তু তিনি রাজি হননি। কাজেই জয়ের নিজের ইচ্ছারও ব্যাপার আছে। 

সম্পাদকমণ্ডলির অনেক সদস্য মন্ত্রিসভায়, আগামী সম্মেলনে সেখানে নতুন মুখ কারা আসছেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ডিসাইট করার মালিক আমাদের সভাপতি, এটা আমাদের গঠনতন্ত্রী ক্ষমতা দেয়া আছে। আমাদের নেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তিনি নির্ধারণ করবেন, কে আসবে দলে। আমাদের দলে শেখ হাসিনা ছাড়া আরও কেউ অপরিহার্য় ব্যক্তি নয়। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমরা কেউই অপরিহার্য় নই।

সাধারণ সম্পাদকে পরিবর্তন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী চাইলে পরিবর্তন হবে। এখানে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। কারও কারও ইচ্ছা, আকাঙ্খা থাকতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থী থাকতে পারে। সেখানে কোনও অসুবিধা নেই। আমি যদি মনে করি আমার প্রতিদ্বন্ধী আর কেউ হতে পারবে না, এটা তো ঠিক না। এটা ডিসাইট করবেন নেত্রী। প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবার আছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত  কমিটি কলবরে বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা নেই। কমিটিতে ৮১ জনই থাকবে। আমাদের নেত্রী যেটা মনে করছেন।আপাতত কমিটিতে সংখ্যা বাড়ানোর কোনও ইচ্ছে নেই। কোন পদও বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের বর্তমান কমিটিতেই একটা সদস্য ও দুইজন সভাপতিমণ্ডলির সদস্যের পদ খালি আছে। সেগুলো এই মুহূর্তে পূরণ হবে না। সম্মেলনের মধ্য দিয়েই আমরা পুরো কমিটি করে ফেলবো, এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। 

তিনি বলেন, সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। প্রতিবারই যাদের আমন্ত্রণ করি এবারও তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। জোটের নেতৃবৃন্দদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিএনপিকেও দাওয়াত দেব। বিদেশি প্রতিনিধি যেহেতু মুজিববর্ষে আসবে, সে জন্য জাতীয় সম্মেলনে আমরা তাদের দাওয়াত দিচ্ছি না। কূটনৈতিকদের আমন্ত্রণ করা হবে।

উপজেলায় দলের নেতৃত্বে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে আমরা একটা নির্দেশনা দিচ্ছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমাদের নেত্রী তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, উপজেলা পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে নিজ নির্বাচনি এলাকায় সংসদ সদস্যরা সভাপতি পদপ্রার্থী হন, এটা নিরুৎসাহিত আমরা করছি। উপজেলা পর্যায়ে সংসদ সদস্যদের আমরা অনুরোধ করছি, তারা যেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে না এসে, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতা-কর্মীদের একটা সুযোগ করে দেন। কারণ তাদেরও অধিকার আছে। তারা এমপি হতে পারে নি, দলে নেতৃত্বও পাবে না, এটা তো হয় না।

দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের জাতীয় সম্মেলনে ১ম দিন সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টটি বড় থাকবে কিন্তু জাতীয় সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত আকারে আমি বলবো। এ শোক প্রস্তাব থাকবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন কাউন্সিল অধিবেশন হবে। যদি আমাদের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে কোনও সংশোধনী থাকে, সেটার অনুমোদন নেয়া হবে। আমরা ঘোষণা পত্র ও গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর ব্যাপারে এরই মধ্যে আমরা জেলা শাখাগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছি, তাদের কোনও প্রস্তাব আছে কিনা, সংযোজন, সংশোধন অথবা পরিমার্জন পরিবর্ধনে জেলা শাখার কোনও প্রস্তাব আছে কি না, সে ব্যাপারে চিঠি পাঠাতে বলেছি।

সহযোগী সংগঠনগুলার সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চোখে পরার মত সংঘাত হয় নি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেনসহ আরও অনেকে। 

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন