• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১, ০১:১৯ পিএম

‘আন্দোলনের ইতিহাস ৭টি বইয়ে বের হচ্ছে’

‘আন্দোলনের ইতিহাস ৭টি বইয়ে বের হচ্ছে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “ভাষার অধিকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি অর্জনেই বাঙালিকে আন্দোলন ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। যারা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে চান, তাদের জন্য ৭ ভলিউমের বই বের হচ্ছে। সেখানে আন্দোলনের সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ৩ থেকে ৪টি ভলিউম পড়লেই এর প্রকৃত ইতিহাস জানা যাবে।”

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন ও ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরো অনুষ্ঠানে তিনি ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি জাতি ত্যাগের মধ্য দিয়েই সব অর্জন করেছে। ভাষা, স্বাধীনতা সবকিছুই ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া। ভাষায় শহীদরা যে আত্মত্যাগ দিয়েছেন, তা কখনো ভোলার নয়। জাতিকে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে।”

বাংলাদেশ সরকারের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলি না। মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানি। লাখো শহীদের  রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে আমরা সব সময়ই নিয়োজিত রয়েছি। নিজের পায়ে দাড়িয়ে দেশ আত্মমর্যাদা  নিয়ে এগিয়ে যাবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই পাকিস্তানি শাসকরা বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দিয়ে সংস্কৃতির ওপর আঘাত হেনেছিল। কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে তাদের ভাষা, স্বাধীনতার উপর আঘাত আনলেই যথেষ্ট। জাতির পিতা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জাতিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।"

অনুষ্ঠানে করোনা টিকাদান কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “করোনা টিকা যারা নিচ্ছেন তারাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। টিকা ভাইরাস প্রতিরোধ করবে, এ ব্যাপারে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া যায় না। আমরা পরীক্ষা করে টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলার জন্য সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২১ বিশিষ্টজনের হাতে একুশে পদক তুলে দেওয়া হয়। পদক পাওয়া বিশিষ্টজনদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে পদক পাওয়া মরহুম সম্মানিত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।

পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।

একুশে পদক পেলেন যারা

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক নিয়েছেন মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আফসার উদ্দীন আহমেদ। তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যরা পদক গ্রহণ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে পদক পেয়েছেন গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক। বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা ইসাবেলার (মরণোত্তর) পক্ষ থেকে পদক নিয়েছে তার পরিবার।

শিল্পকলায় অবদানের জন্য পদক পান কণ্ঠশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি) ও পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।

সাংবাদিকতায় পদক পেয়েছেন অজয় দাশগুপ্ত এবং গবেষণায় পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা। শিক্ষায় বেগম মাহফুজা খানম এবং অর্থনীতিতে ড. মীর্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ পদক গ্রহণ করেছেন।