• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯, ০৫:৪১ পিএম

কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদ হয়েছে ১৭০ অবৈধ স্থাপনা

কর্ণফুলী তীরে উচ্ছেদ হয়েছে ১৭০ অবৈধ স্থাপনা
কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান চলছে- ছবি: জাগরণ



কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান চলছে বিরতিহীন ভাবে। আজ চতুর্থ দিন। গত সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হয় এই অভিযান শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মিশন নিয়ে অভিযান শুরু করে বৃহষ্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের বিরতি পর্যন্ত ভাঙ্গা হয়েছে ১৭০ টি অবৈধ স্থাপনা।

উচ্ছেদ অভিযান শুরুর প্রথম দিন সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কর্ণফুলীর সদরঘাটের লাইটার জেটি এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। প্রথম দিনে অভিযান চালিয়ে ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে উচ্ছেদ করা হয় ৮০টি অবৈধ স্থাপনা। দখল মুক্ত হয় ৪ একর ভূমি।

অভিযানের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মাঝির ঘাট এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এতে অবমুক্ত হয় একটি খাল। যে খালের পাড় পর্যন্ত দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিলো গুদাম। বুধবার উচ্ছেদের তৃতীয় দিন ৪০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঝিরঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি মালিকরা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের স্থাপনা। মাঝির ঘাট এলাকার বৃহৎ লবন কারখানা আল কমর সল্ট ইন্ডাস্ট্রির মালিক মো. ইদ্রিস বলেন, আর কয়েকটা দিন সময় পেলে মালামাল সরিয়ে নিতে পারতাম। উচ্ছেদ অভিযানের কারণে তার প্রায় ৫ কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে বলে দাবী করেন।

বন্দরের জায়গায় কেন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দর থেকে লীজ নিয়েই তিনি কারখানা গড়ে তোলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় অধিবাসী জানান, উচ্ছেদ অভিযানের পর বোঝা যাচ্ছে কি পরিমান জায়গা ভূমি দসুরা দখল করে নিয়েছিলো।

আদালাতের রায়ের পরও অনেকেই মনে করেছিলো অতীতের মতো সব কিছু ম্যানেজ করে দখলস্বত্ব বজায় রাখবে। প্রভাবশালীদের কবল থেকে কর্ণফুলীকে উদ্ধারের জন্য তারা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

 

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে ১৭০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ অবৈধ স্থাপনা আছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে ১০ একর জমি উদ্ধার হবে। উচ্ছেদ অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নেন। কাজ করছেন ১০০ জন শ্রমিক।

টিএফ