• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২২, ২০১৯, ০৫:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২২, ২০১৯, ০৫:১২ পিএম

জামায়াত নেতার জানাজায় ছাত্রলীগের বাধা

জামায়াত নেতার জানাজায় ছাত্রলীগের বাধা

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. মোমিনুল হক চৌধুরীর জানাজায় তুঘলকি ঘটনা ঘটেছে নগরীর চকবাজারের প্যারেড ময়দানে। জানাজার নামাজের আগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রত্যুত্তরে কম যায়নি জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরও। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরাও প্যারেড ময়দানে দিতে থাকেন শোডাউন।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে জামায়াত নেতার জানাজাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। জানাজাস্থলে মিছিল নিয়ে আসতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দুই পক্ষের বাধা এবং শোডাউনের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত জামায়াত নেতার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে ছাত্রলীগ দাবি করেছে, তাদের বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেছে।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রীসংস্থার সাবেক নেত্রী ও বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ওরফে রিজিয়া নদভীর পিতা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী মোমিনুল হক চৌধুরীর জানাজা কলেজ মাঠে আয়োজনের ব্যাপারে কলেজ প্রশাসনকে কিছুই জানানো হয়নি। আমাদের শঙ্কা ছিল মতিউর রহমান নিজামীর জানাজায় অংশ নিয়ে জামায়াত-শিবির যেভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে ভাঙচুর করেছিল, আজও তা করতে পারে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। মিছিল নিয়ে শেরেবাংলা ছাত্রাবাসের সামনে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। অথচ বাধা দেওয়া উচিত ছিল যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের।’

মাহমুদুল করিম আরো বলেন, ‘কলেজ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ শিবিরের সাবেক সভাপতি রায়হান ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়েরসহ আরো নেতাকর্মীরা বিভিন্ন উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিল। আমাদের দেখে তারা ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। জানাজা শেষে মাইকে ইট মারার ঘোষণা দেয় শিবিরকর্মীরা। হামলায় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী আহত হন। তারা হলেন মিনারুল হক, শেফায়াত হোসেন রাজু ও জিয়াউদ্দীন আরমান।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াত নেতার জানাজা প্যারেড মাঠে হওয়ার ঘোষণা তারা দলীয়ভাবে সম্ভবত সবাইকে জানিয়েছিল। সবাই চকবাজারের সব মসজিদে বিচ্ছিন্নভাবে জোহরের নামাজ পড়েছে। নামাজ শেষে সব মসজিদ থেকেই খণ্ড খণ্ডভাবে প্যারেড মাঠে এসে জড়ো হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরা অবস্থান নেওয়ার পর কলেজে ছাত্রলীগ মিছিল করে। মিছিল নিয়ে হোস্টেলের সামনে এলে পুলিশ দুই পক্ষের মাঝে অবস্থান নেয়। জানাজা শেষে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরা মাঠ ত্যাগ করে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ একজনকে আটক করে।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করেছে। এর বাইরে আর কিছু নয়।’

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দীন বলেন, ‘বর্তমান সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভী স্যারের পরিবারের পক্ষ থেকে ওনার শ্বশুর মাওলানা মোমিনুল হক চৌধুরীর জানাজা প্যারেড মাঠে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এই জানাজাকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে, সেই ভূমিকা আমরা রেখেছি। এখানে আমাদের ঊর্ধ্বতন স্যাররা উপস্থিত ছিলেন।’

জানা যায়, মোমিনুল হক চৌধুরীর জামাতা ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের বর্তমান সাংসদ আবু রেজা নদভী এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীসহ জামায়াতের নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।

এনআই