• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০১৯, ০৮:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৭, ২০১৯, ০৮:২৩ পিএম

রুমিন কোন অন্যায় করেননি: মির্জা ফখরুল

রুমিন কোন অন্যায় করেননি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- ছবি: জাগরণ

বিএনপির একমাত্র সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা সরকারের কাছে প্লট চাওয়াকে ‘সমর্থন’ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্লট চেয়ে আবেদন করে রুমিন ফারহানা কোন অন্যায় করেননি। রুমিন জোর গলায় পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে সবখানেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। সবখানেই গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে।'

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি (জাফর) আয়োজিত কাজী জাফরের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছোটখাটো কোনো বিষয় নিয়ে পাগলের মতো ফেসবুকে দেয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনাকে দেখতে হবে মূল লক্ষ্যে আমরা যাচ্ছি কিনা। আমি কার কথা বলছি, আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। পত্র-পত্রিকাতেও ড্রাম বাজিয়ে শুরু করেছে রুমিনের বিরুদ্ধে একটি অবস্থান তৈরি করবার জন্য। রুমিন কোন অন্যায় করেনি। হতে পারে বিষয়টি তার জন্য আনইথিক্যাল হয়েছে। কিন্তু রুমিন জোর গলায় পার্লামেন্টে ভেতরে বাহিরে সবখানেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। সবখানেই গণতন্ত্রের জন্য কথা বলে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে। সুতরাং আমাদের এই চিন্তা ভাবনার লোক যারা আছেন তাদেরকে অনুরোধ করব, দয়া করে আপনারা তার বিরুদ্ধে বা অন্য কারও বিরুদ্ধে কোন কমেন্ট করবেন না। এতে ক্ষতি হবে আন্দোলনের। বরং তাকে পরামর্শ দেন কি কি তার করা উচিত।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। যারা মনে করেন একা একাই পারবো, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। কখনোই এই সমস্ত ফ্যাসিস্ট গভমেন্টকে তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোন আন্দোলন সফল হবে না যদি জাতিকে আমরা ঐক্যবদ্ধ না করতে পারি। এটাই আমাদের দায়িত্ব। রাজনৈতিক দল হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এটাই আমরা মানুষগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করব। যারা গণতন্ত্র চান তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করব। ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের বিচারকদের শক্তি নেই যে সরকারের বাইরে গিয়ে ব্যবস্থা নিবে। বিচার ব্যবস্থাকে তারা পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে বিশেষ করে সাবেক চিফ জাস্টিস সিনহা সাহেবকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার পরে। এই অবস্থা গুলো আগে কখনই দেখেনি। এমনকি পাকিস্তান আমলেও এসব দেখিনি। এখন কঠিন এক সময়। এই সময় ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে আমাদেরকে এগোতে হবে।’

ফখরুল আরও বলেন, ‘আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। মুহূর্তেই কথা বললে তো আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের জন্য তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়, সংগঠন তৈরি করতে হয়, আমরা সেই ভাবে মানুষকে তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমরা সেভাবেই কাজ করছি। কাজী জাফর সাহেব আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বারবার বলেছেন, ‘কখনো হতাশ হবে না। হতাশার কোনো জায়গা নেই। সত্যিকার অর্থেই যদি দেশপ্রেমিক হও, গণতন্ত্র চাও, তাহলে যতই কষ্ট আসুক তা কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জালাল হায়দার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

টিএস/টিএফ

আরও পড়ুন