• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৩:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩১, ২০১৯, ০৩:৫৬ পিএম

‘আপনার ঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড় যুগ আগেই তারেক বাংলাদেশের নেতা’

‘আপনার ঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড় যুগ আগেই তারেক বাংলাদেশের নেতা’

কাদের সিদ্দিকিকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারেক রহমানকে আপনি নেতা বানাবেন কেন? আপনার ঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড়যুগ আগেইতো তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। নেতা বলেই পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়। 

‘তারেক রহমানকে নেতা বানাতে রাজনীতি করি না’ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। 

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম-৭১ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

গয়েশ্বর রায় বলেন, আপনি রাজনীতির স্বার্থ বিবেচনায় আমাদের কাছে এসেছিলেন। সেটা হয়নি, তাই আপনি ব্যাক করবেন; এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এটা বোঝার মতো সক্ষমতা জনগণের আছে।

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে আপনি নেতা বানাবেন কেন? আমি বলতে চাই, আপনার ঘর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড়যুগ আগেইতো তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। নেতা বলেই তাকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কথা হয়। পক্ষে-বিপক্ষে যিনি আলোচনায় থাকেন, তিনিইতো নেতা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কাদের সিদ্দিকিকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, নেতাকর্মীদের তারেক রহমানের ওপর যে আস্থা সেটা আবেগ নির্ভর নয়। সেটা বাস্তবতা নির্ভর। আর বাস্তবতা নির্ভর বলেই ভিনদেশে বসে এতবড় একটা দলকে তিনি নেতৃত্ব দিতে পারছেন। সুতরাং আপনাকে তারেক রহমানকে নেতা বানাতে হবে না। নেতা তৈরী হয় জনগণের ইচ্ছার ওপর।

গয়েশ্বর বলেন, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম। স্বাধীন একটা রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আমাদের ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। আমরা যাদের বিশ্বাস করে সেদিন ক্ষমতা দিয়েছিলাম তারা সেই বিশ্বাস রাখতে পারেনি। 
 
তিনি বলেন, যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি থাকবে না। তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। রাজনীতিতে শুন্যতা পূরণ করেছেন আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তার বিরামহীন নেতৃত্ব ও রাজপথে পথচলা, ২০ বছর পথে প্রান্তরে ঘুরে স্বৈরাচারের হাত থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে তিনি আপোষহীন নেত্রী হিসেবে জনগণের কাছে অভিষিক্ত হন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, যদিও শেখ হাসিনার চায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে মৃত্যুর মুখোমুখি করতে। তবুও খালেদা জিয়া আসবেন। শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন খালেদা জিয়া যদি কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। জানি না ঈশ্বর তার এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবেন না তার কান্না দেখে মানুষও কাঁদতে ভয় পাবে ভবিষ্যতে। গুম-খুনসহ যেসব অপকর্ম তিনি করেছেন তার জবাব দিতে হবে।           

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।


টিএস/ একেএস

আরও পড়ুন