জোটের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নতুন সড়ক আইনের প্রতিবাদে সারাদেশে ঘোষিত ধর্মঘট মানুষকে জিম্মি করতেই করা হচ্ছে। আর আইনে নিয়ে যদি মালিক, শ্রমিক কারও কোনো কথা থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু ধর্মঘট করে মানুষকে জিম্মি করা আমরা সমর্থন করি না। তিনি বলেন, সরকারকে উৎখাত করতে একটি মহল বিভিন্নভাবে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি একথা বলেন।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গ নাসিম বলেন, দেশে প্রচুর পেঁয়াজের মজুদ থাকা সত্ত্বেও দাম কেন বাড়িয়ে দেয়া হলো? আমরা এ দিয়ে সংসদে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন দাম কমতে শুরু করেছে। 

তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রয়েছে যারা মানুষের ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে মুনাফা করেন। তারাতো চিহ্নিত মহল। অশুভ একটি মহল মানুষের ক্ষুধাকে জিম্মি করে অতীতেও রাজনীতি করেছে, এখনও করছে। পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পুকুরে ফেলে দিচ্ছে, তারপরও দাম কমাচ্ছে না। এ ধরনের ব্যবসায়ীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। মানুষের ক্ষুধা নিয়ে চক্রান্ত করা একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। 

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে, কোনোভাবে মানুষের ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই এখন তাদের উদ্দেশ্য। বিএনপি-জামায়াত করতে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। এজন্য আমি আহ্বান করবো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করে এ ধরনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

নিত্যপণ্যে দামের উঠানামার সুযোগ নিয়ে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয় উল্লেখ করে সভায় জাসদের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে চামড়া, ভোলার ঘটনা, পেঁয়াজ ও বুয়েটের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর সরকার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই কথায় কথায় সরকার উৎখাতের হুঙ্কার শুধু শব্দ দূষণই করবে। 

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণতন্ত্রী পার্টির সরাফত আলী, ১৪ দল নেতা নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ডা. শাহাদাত হোসেন, এস কে সিকদার, শফিক আহমেদ প্রমুখ।

এএইচএস/টিএফ