• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম

নিহত সাইফুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে চিন্তিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার

নিহত সাইফুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে চিন্তিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
নিহত সাইফুলের স্বজনদের আহাজারি। ছবি- জাগরণ

 

ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের এক জনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়নের পাটকান্দি গ্রামে।  
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রিক্সা চালক সাইফুল ইসলামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সাইফুলের সাথে অন্য যারা রিক্সা চালাত তাদের কোনো সন্ধানই পাচ্ছেন না কেউ।

বাবা কৃষক আব্দুল কাদেরের অভাবের সংসারের স্বচ্ছ্লতা ফেরাতে স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে ঢাকায় রিক্সা চালান সাইফুল। কিন্তু চকবাজারের আগুন কেড়ে নিয়েছে তার প্রাণ। শুক্রবার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসতেই শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামজুড়ে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিহত সাইফুলের লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। লাশ বাড়িতে আনার পরে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের স্বজনরা। পরে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে নিজ গ্রামে জানাযা শেষে পাটকান্দি কবরস্থানে নিহত সাইফুলের দাফন করা হয়।

এদিকে, স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, শুধু সিংড়ার সেরকোল, পুঠিমারী, কুশাবাড়ী, নতুন পাড়া, নলবাতা,নীলচরা, পাটকান্দি, সাঐল, লাড়ুয়া, ধুলিয়াডাঙ্গা, কয়েকশত লোক ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা করেন। তাদের দাবি উক্ত ঘটনায় হতাহতের মধ্যে আরো অনেকে থাকতে পারে।

শুক্রবার সকালে নিহত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাইফুল ছিলেন দ্বিতীয়। ঘরের ভিতর বুক চাপড়ে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন সাইফুলের স্ত্রী খালেদা বেগম। তাকে সুস্থ্ করার জন্য মাথায় পানি ঢালছেন স্বজনরা।  
ছোট বোন শাহিনা বেগম ভাইয়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাচ্ছেন। মা হাসনা বানু বেগম ছেলের মৃত্যুতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আর শৈশব থেকে আদর স্নেহে ভাই সাইফুলকে লালন-পালন করা বড় ভাই হাসান আলীর বিলাপ ভারী করে দিচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।

এদিকে, নিহত সাইফুলের স্ত্রী খালেদা ও দুই মেয়ে খাদিজুল (৭) সাদিয়া (৫) নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন তার বাবা আব্দুল কাদের। কারণ তার ছেলের আয় রোজগার দিয়েই চলতো ছয় জনের সংসার খরচ।

অসহায় এই পরিবারের প্রতি সহযোগিতায় সরকার এগিয়ে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।  

কেএসটি