• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ১২:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০২১, ১২:৪৪ পিএম

রায়হান হত্যা 

এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

এসআই আকবরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যার প্রায় ৭ মাসের মাথায় অবশেষে মামলাটির চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিটটি জমা দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে একজন পলাতক।

পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, অধিকতর তদন্ত ও চলমান করোনা মহামারির কারণে মামলাটির অভিযোগপত্র দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরকে প্রধান অভিযুক্ত করা হলেও আর কাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিক জানাননি তারা।

এ বিষয়ে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী বলেন, “পিবিআই দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে আপাতত কোনো অসংগতি চোখে পড়েনি। তবে অভিযোগপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র তোলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযোগপত্রের কপি আমাদের কাছে আসার পর তা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি দেব কি না।”

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান নামের এক যুবক। তাকে ওই দিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেক ই এলাহীসহ পুলিশ সদস্যরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।

ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, নগরের কাস্টঘরে গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে প্রাণ হারান রায়হান।

রায়হান হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১২ অক্টোবর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করলে তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই কারাগারে আছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জন হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া, টুআইসি এসআই হাসান আলী, এএসআই আশেক ই এলাহী, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও ওই দিন ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী একজন। তাছাড়া বরখাস্ত অবস্থায় এসআই আব্দুল বাতেন ভুঁইয়া, এএসআই কুতুব আলী, ককনস্টেবল তৌহিদ মিয়া ও প্রত্যাহার অবস্থায় কনস্টেবল মো. সজীব হোসেনকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন