• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৯:৩১ এএম

মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে অনিয়ম 

মানিকগঞ্জের চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে অনিয়ম 
নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় মানিকগঞ্জ চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়

 

নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় স্কুল। শিক্ষকরাও আসেন না নিয়মিত। এক কথায় খেয়াল খুশি মতো চলছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের চরাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। 
 
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ৩৩ নম্বর চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২ মাসে কয়েকবার অনুসন্ধানে দেখা যায়, দুপুর দুইটায় স্কুল ছুটি দিয়ে তালা দিয়ে চলে যান শিক্ষকরা। একই অবস্থা ৫৩ নম্বর চুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গণমাধ্যমের অনুসন্ধানের খবর পেয়ে টাকা দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন বসাক।

এমন অনিয়ম দৌলতপুর উপজেলার চরাচঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।  আধাবেলা পাঠদান শেষে ছুটি দেয়া হয় স্কুল। অনেক শিক্ষকই নিয়মিত স্কুলে আসেন না।

দৌলতপুর উপজেলার ৩১ নং যমুনা চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সহকারী শিক্ষিকা দিলরুবা আক্তার চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেপুটেশনে চলে যান ১ নং দক্ষিণ বাঘুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ গেলো দেড় মাসে একদিনও  স্কুলে হাজির হননি তিনি। সাংবাদিক স্কুলে যাচ্ছে খবর পেয়ে দিলরুবা আক্তার তার আগের স্কুল ৩১নং যমুনা চরকাটারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত থাকার ঘরে স্বাক্ষর করতে চান। এতে বাধা দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে অভিযোগ স্বীকার করে সংবাদ প্রচার না করার জন্য অনুরোধ করেন। ঘুষ দিতে চান সাংবাদিককে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসব অনিয়মের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি, বাচামারা ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নে যমুনা নদীর চরাঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৭টি। যার অধিকাংশই চলছে শিক্ষকদের ইচ্ছে মত।

বিএস