• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০১৮, ০৮:১৩ পিএম

আলোচিত মুম্বাই হামলায় শহীদদের স্মরণ

আলোচিত মুম্বাই হামলায় শহীদদের স্মরণ


 

ভারতের মুম্বাইয়ে হামলার দশ বছর উপলক্ষে ২৬/১১ এর আলোচিত ঘটনায় শহীদের স্মরণ করে মুম্বাই পুলিশবাহিনী। তারা মনে করেন এ ঘটনাটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) সকালে আরব সাগর উপকূলে পুলিশ জিমখানায় 'সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠান' উপলক্ষে সংগীতের মাধ্যমে শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় মুম্বাইয়ের সেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারানো ৬ মার্কিন নাগরিকের কথা স্মরণ করে জঙ্গি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।

আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মহারাষ্ট্রের গভর্নর চেন্নামানেনি বিদ্যাসাগর রাও ও প্রধানমন্ত্রীর দেবেন্দ্র ফদনাভিস ।

 

হামলায় আক্রান্ত মুম্বাইয়ের হোটেল তাজ (ফাইল ফটো) 

 

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভারতের মুম্বাইয়ে অনুপ্রবেশকারী পাক-জঙ্গিরা গুলি, বোমা-গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডব চালায় । হোটেল তাজ দখল করে নিয়ে জঙ্গিরা টানা ৩দিন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায় । ভারতীয় এনএসএফ ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী হোটেল তাজ মুক্ত করার আগেই  ৬ মার্কিন নগারিকসহ ১৬৬ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হয় বহু মানুষ।

এ সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৯ পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিলো, জীবিত ধরা পড়েছিল আজমল কসাব নামের এক জঙ্গি সদস্য। ২০১২ সালে এই ঘটনাসহ অন্যান্য জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

সে সময় মুম্বাই হামলার মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছিল লস্কর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান হাফিজ সইদের নাম। এই হামলায় তার জড়িত থাকার তথ্য আমেরিকা, পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক মহলের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানে তাকে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, দেশটির নির্বাচনি প্রক্রিয়ার ভোট যুদ্ধেও লড়েছেন তিনি।

এর আগেও মুম্বাই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে ব্যবস্থা নিতে আহবান জানিয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মদদ দেয়া বন্ধ না করলে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও তাদের চাপে রাখার হুঁশিয়ারি দেয় ওয়াশিংটন। কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

টিএফ